BJP: তেলেঙ্গনায় ধাক্কা দিয়েই দাক্ষিণাত্যে ঘাঁটি গাড়ার কৌশল বিজেপির!
ইতিমধ্যে তেলেঙ্গনা রাষ্ট্রীয় সমিতির (TRS) প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও (KCR) বিজেপির বিপদ বুঝতে পেরেছেন। সেজন্যই সম্প্রতি বিজেপির সঙ্গে অল আউট আক্রমণে যাওয়ার নীতি নিয়েছেন তিনি।
মৌপিয়া নন্দী, হায়দরাবাদ: দাক্ষিণাত্যে মাটি শক্ত করতে তেলেঙ্গনায় নজর বিজেপির। বিন্ধ্য পর্বতের ওপাড়ে পদ্ম চাষে, নিজামের শহরে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক (BJP National Executive Meet) মোদী-শাহ-নাড্ডাদের।
কেন বিজেপির (BJP) কাছে তেলেঙ্গনা গুরুত্বপূর্ণ?
প্রথমত, তেলেঙ্গনায় এমন একটি রাজ্য যেখানে একটি মিশ্র ভাষাভাষীর মানুষের বসবাস। হায়দরাবাদে প্রায় ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু মানুষের বাস। আর বাকি রাজ্যে সেই সংখ্যা প্রায় ২০ শতাংশের মতো। ফলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেখানে বিজেপির মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে মেরুকরণ।
দ্বিতীয়ত, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে উজ্জীবিত করেছে হায়দরাবাদ পুরভোটের ফলাফল। যে পুরভোটে মোদী ছাড়া বাকি নেতৃত্ব ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এবং হাতেনাতে ফলও পেয়েছেন তাঁরা। সেখানে শাসকদল তেলেঙ্গনা রাষ্ট্রীয় সমিতি (TRS) এবং আসাদউদ্দিনের AIMIM-এর চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে গেরুয়া শিবির। প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠে এসেছে বিজেপি।
তৃতীয়ত, বর্তমানে কর্ণাটক ছাড়া দক্ষিণের আর কোনও রাজ্যে বিজেপির তেমন একটা ছাপ ফেলতে পারেনি। ফলে এখনও জনমানসে বিজেপি গোবলয় বা উত্তর ভারতীয় দল হিসেবেই পরিচিত। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে সেই পরিচয় মুছে ফেলতে বদ্ধপরিকর মোদী-শাহরা।
ইতিমধ্যে তেলেঙ্গনা রাষ্ট্রীয় সমিতির (TRS) প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও (KCR) বিজেপির বিপদ বুঝতে পেরেছেন। সেজন্যই সম্প্রতি বিজেপির সঙ্গে অল আউট আক্রমণে যাওয়ার নীতি নিয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচেন বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন করেছেন। বিজেপিকেও আক্রমণ করছেন। অভিযোগ, হায়দরাবাদে বিজেপির দু'দিনের কর্মসূচি ভণ্ডুলের চেষ্টাও করেছে তেলেঙ্গনা সরকার।
ফলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, টিআরএস বনাম বিজেপির লড়াই ঘিরে নিজামের দেশে টানটান উত্তেজনা। আর মোদী-শাহরা হয়ত এই লড়াইটা চাইছেনও। কারণ তাঁরা ভালই বুঝতে পারছেন যে, তেলেঙ্গনাই তাঁদের দক্ষিণ ভারতে প্রবেশের পাসওয়ার্ড হতে পারে। সেখানে পদ্ম চাষে ব্যর্থ হলে, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে এর বড় প্রভাব পড়বে। সেজন্যই বিজেপির টার্গেট তেলেঙ্গনা।