নিজস্ব প্রতিবেদন: অসমের নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে এক রা শাসক-বিরোধীর। কংগ্রেস-বিজেপি দুপক্ষই মনে করছে, বিদেশিরা নাগরিকত্ব পেয়ে গিয়েছে। আর অসমের বাসিন্দারা হয়ে গিয়েছেন বিদেশি।  ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন  অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। নাগরিকপঞ্জিকে চক্রান্ত বলে তোপ দেগেছেন বিজেপি বিধায়ক শিলদিত্য দেব। একই সুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের গলাতেও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অসমে প্রকাশিত হয়েছে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা। আর তাতে ৩ কোটি ৩০ লক্ষের মধ্যে বাদ গেল ১৯ লক্ষেরও বেশি মানুষের নাম। এরপর আর চুপ করে থাকেননি অসমের দাপুটে মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। পরপর টুইটে দেগেছেন তোপ।তিনি লিখেছেন, ১৯৭১ সালের আগে শরণার্থী পরিচয়ে যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসেছিলেন, নাগরিকপঞ্জিতে তাঁদের নাম নেই। কারণ কর্তৃপক্ষ তাঁদের শরণার্থী শংসাপত্রকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। বহু প্রকৃত ভারতীয়ই তালিকার বাইরে থেকে গিয়েছেন। অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে  তথ্য জালিয়াতি করে নাগরিকপঞ্জিতে নিজের নাম তোলা হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব? বৈধ নাগরিকদের চিহ্নিত করা এবং অনুপ্রবেশকারীদের বাতিল করার ক্ষেত্রে এই তালিকা আদৌ কাজে লাগবে ? প্রশ্ন তুলেছেন হিমন্ত। একই সঙ্গে লিখেছেন যে ওই  তালিকার ওপর তিনি ভরসা রাখছেন না।




হিমন্ত একা নন। তোপ দেগেছেন বিজেপি বিধায়কও। নাগরিকপঞ্জি পুরোটাই চক্রান্ত। সফটওয়্যারে কারসাজির অভিযোগ তুলেছেন শিলদিত্য দেব। বিজেপি বিধায়কের দাবি, দুর্নীতি করে তৈরি করা হয়েছে নাগরিক পঞ্জি। তিনি বলেছেন, মানুষ চেয়েছিলেন অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে ত্রুটিমুক্ত নাগরিকপঞ্জি তৈরি হোক, কিন্তু আদতে তা হয়নি।


অস্বস্তির আগুনে ঘি পড়েছে অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের প্রতিক্রিয়ায়। হিমন্ত বিশ্বশর্মাদের সুরেই সুর মিলিয়েছেন তিনি। তরুণ গগৈয়ের কথায়, ''নাগরিকপঞ্জি নিয়ে অসমের সকলেই অসন্তুষ্ট। বিজেপির মন্ত্রীরাও অভিযোগ করছেন। একেবারে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বহু ভারতীয় নাগরিকদের আদালতের দরজায় যেতে হবে। সবরকম সহযোগিতা করবে কংগ্রেস। দেশই আমাদের অগ্রাধিকার।''  



লোকসভা ভোটের প্রচারে  নাগরিক পঞ্জিকে হাতিয়ার করেই ঝড় তুলেছিলেন মোদী-শাহ। কিন্তু, প্রথমদিনেই বড়সড় অস্বস্তি। দলের অন্দরে তৈরি হওয়া এই ক্ষোভ কীভাবে সামাল দেবে বিজেপি?