ওয়েব ডেস্ক: এতকাল থেকে চলে আসা হাজার বছরের ইতিহাসকে একলহমায় উল্টে দেওয়া একেই বলে। আল্লাহে্‌র দরবারে 'নিষিদ্ধ' মহিলারা, এটাই নাকি মুসলিম রীতি, ইসলামিক রেওয়াজ। ইসলামের সৃষ্টির আদিকাল থেকেই 'আল্লাহের দরবার' মসজিদে কখনই যেতে পারতেন না নারীরা, পুরুষরাই কেবল মসজিদে যাওয়ার অধিকারী ছিলেন। নামাজের সময় নমাজি হওয়ার অধিকার কেবল পুরুষেরই, ঈদের মত পবিত্র পরবেও কোনও মসজিদে মহিলারা যেতে পারতেন না। এই আদি প্রথাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে মসজিদের দরজা খোলা হল মহিলাদের জন্য। আর এই বিশ্বনজিরের সাক্ষী থাকল ভারতের লখনউ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পবিত্র ঈদ, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আইশবাঘ ঈদগা ইতিহাস ভেঙেই তৈরি করল নয়া ইতিহাস। নামাজের সময় মহিলাদের জন্য খুলে দেওয়া হল মসজিদের দরজা। গোঁড়া ইসলামিক ভাবনাকে কেবল তুড়িতে উড়িয়ে দিয়ে উদারনৈতিক ইসলাম ধর্মের নয়া অধ্যায়ের শুভারম্ভ বোধহয় হয়ে থাকল এই ঘটনাই।


"আল্লাহ্‌কে প্রার্থনা জানানোর অধিকার আছে সবার। সেখানে নারী পুরুষের কোনও ভেদাভেদ থাকা কখনই বাঞ্ছনীয় নয়। লখনউ প্রথম দেখিয়ে দিল আল্লাহ্‌ সবার এবং আল্লাহে্‌র প্রার্থনায় সবার সামিল হওয়ার অধিকার রয়েছে। এটা একটা বড় পরিবর্তন। ইতিহাসের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করল এই ঘটনা। ওই মসজিদের ট্রাস্টিরা এই সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে গোটা বিশ্বকে ইসলামে নারীর অধিকারের স্বীকৃতিকে অন্যমাত্রা দিল", সংবাদসংস্থা ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই কথাই জানান সমাজকর্মী ত্রুপ্তি দেশাই।