নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলার এক গায়ক রসিকতা করে বলেছিলেন, এ দেশে চুমু খাওয়া অপরাধ, ঘুষ খাওয়া নয়। এ দেশে ঘুষ নামক ‘দৈববলে’ এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে ফাইল সরে। হাটেবাজের এই প্রবাদ কমবেশি শোনাই যায়। তবে, ‘ইন্ডিয়া করাপশন সার্ভে ২০১৯’ আলোর দিশা দেখাচ্ছে। ওই সমীক্ষা দাবি করছে, ১০ শতাংশ ঘুষ নেওয়া কমেছে গত বছরের তুলনায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সমীক্ষা চালানো হয়েছিল ২০ রাজ্যের কমপক্ষে ১.৯০ লক্ষ ব্যক্তির মতামত নিয়ে। ওই সমীক্ষা দাবি করছে, দিল্লি, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, গোয়া এবং ওড়িশায় মানুষ কম ঘুষ নিয়েছেন। অন্য দিকে রাজস্থান, বিহার, উত্তর প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড ও পঞ্জাবে ঘুষ নেওয়ার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই সমীক্ষার আরও দাবি, গত এক বছরে ঘুষ দিয়েছেন ৫১ শতাংশ ভারতীয়। কাজ শেষ করতে ঘুষ দিতে হয়েছে বলে দাবি করছেন ৩৩ শতাংশ মানুষ। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ঘুষের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম নগদ টাকাই।



আরও পড়ুন- অজিত পাওয়ার কি ভুল করলেন? প্রশ্নে কৌশলী প্রতিক্রিয়া দেবেন্দ্র ফডণবীসের


ওই সমীক্ষা আরও জানাচ্ছে, জমি সংক্রান্ত পঞ্জিকরণ, পুলিস এবং পুরসভা হল ঘুষের আঁতুড়ঘর। তবে, গত এক বছরে এক ধাক্কায় ১২ শতাংশ জমি সংক্রান্ত পঞ্জিকরণে ঘুষ নেওয়ার প্রবণতা কমেছে। কর দেওয়ার ক্ষেত্রেও ঘুষের প্রবণতা কমেছে বলে দাবি করছেন ১৭ শতাংশ নাগরিক। তবে, অভিযোগ জানানোর পর ৪৮ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে ওই সমীক্ষায়।