সন্তানের ৯ মাস বয়সে শহিদ হন স্বামী, সেই ছেলেকে সেনায় পাঠালেন মা
১৯৯৬ সালের ১৬ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরে শহিদ হন বিএসএফের ডেপুটি কম্যাডান্ট সুভাষ শর্মা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ছেলের বয়স মাত্র ৯ মাস, তখন সেনা আধিকারিক স্বামীকে হারিয়েছিলেন ববিতা শর্মা। তারপরও ভেঙে পড়েননি তিনি। বরং ছেলেকে বড় করে পাঠিয়ে দিয়েছেন ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে। সেখান থেকে পাশ করে সেনা আধিকারিক হয়েছেন ২২ বছরের ক্ষিতিজ শর্মা।
১৯৯৬ সালের ১৬ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরে শহিদ হন বিএসএফের ডেপুটি কম্যাডান্ট সুভাষ শর্মা। মরণোত্তর রাষ্ট্রপতি পুলিস পদক পান তিনি। তখন ক্ষিতিজের বয়স মাত্র ৯ মাস। স্বামীকে হারিয়েছেন, তারপরও ছেলেকে সেনায় পাঠানোয় ভয় করেনি? ববিতা শর্মার কথায়, ''নিজেকে কোনওদিনই বিধবা ভাবিনি। আমার স্বামী দেশের জন্য শহিদ হয়েছেন। উনি অমর। বাবার ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতেই ছেলেকে সেনায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।''
কোটার সেন্ট পলস স্কুলের বাস্কেটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন ক্ষিতিজ। ২০১৪ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির সর্বভারতীয় পরীক্ষায় ১৩ নম্বর স্থান অধিকার করেন তিনি। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাননি। ২০১৭ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি থেকে পাশের পর আইএমএ-তে যোগ দেন ক্ষিতিজ। কীভাবে সেনায় যোগদানের অনু্প্রেরণা পেলেন? ক্ষিতিজের কথায়, ''বাবার সাহসের গল্প শোনাতেন দাদু। মহারাণা প্রতাপ, সুভাষচন্দ্র বসু ও ভগত্ সিংয়ের মতো মহাপুরুষদের কথাও বলতেন।''
আরও পড়ুন- রাহুলের ইফতার পার্টিতে গরহাজির বিরোধী প্রধানরা, এলেন প্রণব