শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাজেটে নতুন নতুন রেলপ্রকল্প ঘোষণা না করে পুরনো প্রকল্প শেষ করায় নজর দিয়েছে মোদী সরকার। পাশাপাশি যাত্রী সুরক্ষায় পরিকাঠামোর উন্নতিতেও জোর দেওয়া হয়েছে। এবার সাধারণ বাজেটে রেলে বড় চমক দিতে পারে কেন্দ্র। 


দীর্ঘদিনের প্রথার অবসান করে গতবছর থেকে সাধারণ বাজেটে রেলকে মিশিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। আর আগের মতো রেলের জন্য আলাদা বাজেট পেশ হয় না। মোদীর জমানায় রেলে গুচ্ছের প্রকল্প ঘোষণা করা হয়নি। বরং ট্রেনের গতি বৃদ্ধি, আধুনিক পরিকাঠামো ও যাত্রী নিরাপত্তায় নজর দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ বাজেটে রেল দিয়েই চমক দিতে চাইছে মোদী সরকার। জেট গতিতে দেশের চার প্রধান শহরকে জুড়তে আসছে রেলের সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্প। এর জন্য তৈরি করা হবে আলাদা হাই স্পিড রেল করিডর। 


২০০১ সালে স্বর্ণ চতুর্ভুজ প্রকল্পের কাজ শুরু করে অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার। জাতীয় সড়ক দিয়ে জুড়েছিল দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই ও কলকাতা। বাজপেয়ীর সেই ঐতিহাসিক ভাবনা যে গোটা দেশের পরিবহণ ব্যবস্থাই বদলে দিয়েছে, তা মানেন বিরোধীরাও। এবার রেলে বাজপেয়ীর ভাবনার সফল প্রয়োগ ঘটাতে চাইছেন তাঁর উত্তরসূরী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী।  
   
দেশের ৪টি প্রধান শহরকে রেলপথে জুড়তে আসেছে সোনালি চতুর্ভুজ প্রকল্প। দিল্লি থেকে চেন্নাই বা কলকাতা থেকে মুম্বই যেতে দিন কাবার হয়ে যায়। কলকাতা থেকে মুম্বই যেতে লেগে যায় প্রায় তিরিশ ঘণ্টা। ট্রেনে ২৫ ঘণ্টা লেগে যায় চেন্নাই যেতে। দিল্লি থেকে চেন্নাই যেতে পার হয়ে যায় ২৮ ঘণ্টা। নতুন প্রকল্পে এই সময় এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে। চারটি শহরকে জুড়তে আলাদা হাইস্পিড করিডর বানানোর প্রস্তাব রয়েছে। 


আরও পড়ুন- চলন্ত ট্রেনের সামনে সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুর মুখে যুবক


কী এই হাইস্পিড করিডর? 


৪টি প্রধান শহরের মধ্যে হাইস্পিড রেল করিডর তৈরি হবে। আলাদা রেল লাইন, সিগন্যালিং ব্যবস্থা থাকবে। প্রয়োজনে করিডরে এলিভেটেড রেল লাইনের ব্যবস্থা করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কলকাতা থেকে ৩০ ঘণ্টার বদলে মাত্র ২০ ঘণ্টায় পৌঁছনো যাবে মুম্বইতে। রাজধানীতে কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে সময় লাগে প্রায় ১৭ ঘণ্টা। তা নামিয়ে আনা হবে ১২ ঘণ্টায়। কেন্দ্রের দাবি এই প্রকল্প ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে এক নতুন উচ্চতায় পৌছে দেবে।