নিজস্ব প্রতিবেদন: বাজেট বক্তৃতায় কাশ্মীরের কবিতায় ভাসল সংসদ। ডাল লেক থেকে ফুলের বাগান পেরিয়ে কাশ্মীর বরাদ্দেও কল্পতরু হলেন অর্থমন্ত্রী। ৩০ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হল উপত্যকার জন্য। বিপুল বরাদ্দ পেল লাদাখও। যেখানে স্বাধীনতা নেই,সেখানে টাকা দিয়ে কী হবে? খোঁচা দিল কংগ্রেস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বাজেট বক্তৃতায় ঠাঁই পেল কাশ্মীর। দীননাথ কলের কবিতা দিয়ে বাজেট বক্তৃতা শুরু করলেন। কবিতা পড়লেন কাশ্মীরীতেই। শোনালেন ডাল লেকে প্রস্ফুটিত পদ্মের কথা। নির্মলা বলেন,''হামরা ওয়াতন, খিলতে হুয়ে শালিমার বাগ জ্যাসা, হামারা ওয়াতন, ডাল ঝিল মে খিলতে হুয়ে কমল জ্যাসা। নউ জবানো কে গরম খুন জ্যাসা, মেরা ওয়াতন, তেরা ওয়ান, হামরা ওয়াতন দুনিয়া কা সবসে প্যারা ওয়াতন।''  


কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর মোদী বলেছিলেন, কাশ্মীর-লাদাখে এটা নতুন যুগের শুরু। দশকের প্রথম বাজেটে কাশ্মীরের জন্য তাই একরকম কল্পতরুই হলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেটে কাশ্মীরের জন্য বরাদ্দ করা হল ৩০ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা। লাদাখের জন্য ৫,৯৫৮ কোটি বরাদ্দ ঘোষণা করলেন নির্মলা। 


সংসদে কাশ্মীরের কবিতা এবং বরাদ্দে দরাজহস্ত। একতার বার্তা? নাকি প্রচ্ছন্ন রাজনীতি? বিরোধীরা বলছেন যেখানে মানুষ গৃহবন্দি, যেখানে কবিতা আর টাকা দিয়ে হবে কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এখন কাশ্মীরের মানুষের বিশ্বাস অর্জন করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। মোদী কথা দিয়েছিলেন, আইআইটি, আইআইএমের মতো প্রতিষ্ঠান তৈরি হবে উপত্যকায়। সরকার যে কথার খেলাপ করছে না, সেটাই এদিনের বাজেট বরাদ্দে দেখিয়ে দিলেন অর্থমন্ত্রী। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, 'ওয়াতন' একটাই, তুলে আনলেন কবিতায়।


আরও পড়ুন- করের হার কমানোর লাড্ডু দেখিয়ে, সঞ্চয়প্রকল্পে ছাড়ের রসগোল্লা কাড়লেন নির্মলা