নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির বুরারিকাণ্ডে পাঁচ মাস পর প্রকাশিত হল ভিসেরা রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে মৃতদের কারও দেহে কোনও বিষাক্ত পদার্থের অবশিষ্ট মেলেনি। ফলে ঘটনাটিতে সমবেত আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিস। বুরারিকাণ্ডে ষড়যন্ত্রের যাবতীয় তত্ত্বও খারিজ হওয়ার পথে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চলতি বছর ১১ মে দিল্লির কাছে বুরারিতে একই পরিবারের ১১ জনের দেহ বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়। পরিবারের গৃহকত্রীর দেহ উদ্ধার হয় মেঝে থেকে। বাকি প্রত্যেকের দেহ মেলে ঝুলন্ত অবস্থায়। মৃত ১১ জনের বেশ কয়েকজনের পেটে কোনও খাবার মেলেনি বলে জানানো হয়েছে ভিসেরা রিপোর্টে। কয়েকজনের পেটে সদ্য খাওয়া হালকা খাবার মিলেছে। 


বিহারের কাঁচামালে টিকিয়াপাড়ায় তৈরি অস্ত্র ফের চলে যেত মুঙ্গেরে! নয়া তথ্য


বুরারি হত্যাকাণ্ডে বাইরের কারও হাত থাকার সম্ভাবনা এতদিন উড়িয়ে দেয়নি পুলিস। প্রতিটি দেহের ময়নাতদন্তের পাশাপাশি ঘটনার মনস্তাত্বিক ময়নাতদন্তও হয়। তবে কোথাও ঘরে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির উপস্থিতির কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ পায়নি পুলিস। 



বুরারিকাণ্ডের মনস্তাত্বিক ময়নাতদন্তে নেমে মৃতদের চিকিত্সার ইতিহাস খতিয়ে দেখেন বিশেষজ্ঞরা। মৃতদের মানসিক গঠন বুঝতে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করা হয় তাদের বন্ধু ও পরিজনদের সঙ্গে। পুলিসের দাবি, আসলে আত্মহত্যা করতে চাননি বুরারির ভাটিয়া পরিবারের সদস্যরা। ধর্মীয় আচার পালন করতে গিয়ে মৃত্যু হয় তাদের।   ভিসেরা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বুরারিকাণ্ডের তদন্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিস।