নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তর দিল্লির বুরারির একই পরিবারের ১১ জনের মৃত্যু হত্যা নাকি আত্মহত্যা, এনিয়ে রহস্য তুঙ্গে। এরই মধ্যে ময়না তদন্তে উঠে এল নতুন তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভাটিয়া পরিবারের মৃত ১১ জনের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে গলায় ফাঁস লেগে। কোনওরকম ধস্তাধাস্তির কোনও প্রমাণ নেই। অর্থাৎ মৃতরা নিজেরাই গলায় ফাঁস লাগিয়েছিল। কেউ তাদের ঝুলিয়ে দেয়নি। ফলে খুনের সম্ভাবনা অনেকটাই হালকা হয়ে ‌যাচ্ছে। এখন প্রশ্ন বাকি ৫ জনের মৃত্যু তাহলে হল কীভাবে?


আরও পড়ুন-  বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে আজ ব্রাজিলের সামনে মেক্সিকো


এদিকে, পুলিস ইতিমধ্যেই ওই ১১ জনের মৃত্যুর সঙ্গে তান্ত্রিক ‌যোগের অনুমান করছে। রবিবারই দিল্লি পুলিস দাবি করেছে মৃতরা কোনও তন্ত্রমন্ত্রে বিশ্বাস করতো। তার প্রমাণও পেয়েছে পুলিস। মৃতদের ঘর থেকে একটি হাতে লেখা চিরকুট উদ্ধার হয়েছে। সেখানে বিশেষ এক তন্ত্র পদ্ধতির উল্লেখ করে লেখা রয়েছে ১১ জন লোক একসঙ্গে ‌যদি ওই তন্ত্র পদ্ধতিতে ‌যজ্ঞ বা পূজা করে তাহলে সব সমস্যার সমসার সমাধান হয়ে ‌যাবে। শুধু তাই নয় ‌যজ্ঞকারীদের ‘মোক্ষ লাভ’-ও হবে।


আরও পড়ুন-জয়পুরিয়া কলেজে তোলাবাজি রুখতে এবার কড়া দাওয়াই!


দিল্লি পুলিস সূত্রে সংবাদ মাধ্যমের খবর, ‌যেভাবে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে তার সঙ্গে হাতে লেখা চিরকুটের তন্ত্রসাধনা পদ্ধতির বেশ মিল রয়েছে। পুলিসে এখন মৃত্যুর সঙ্গে তান্ত্রিক ‌যোগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। তবে প্রশ্ন হল, সবকটি মৃতদেহ, মুখবন্ধ, হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ও চোখবাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেল কেন? বাইরের কেউ ওই মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত না থাকলে ওই ধরনের মৃত্যু সম্ভব কি? সবে মিলিয়ে ১১ জনের মৃত্যু রহস্য আরও জটিল হচ্ছে।