সেতু ভেঙে নদীতে ঝাঁপ যাত্রীবাহী বাসের, মৃত ৯
সেতু থেকে নদীগর্ভের গভীরতা কমপক্ষে ৪০ ফুট বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিস আধিকারিক
নিজস্ব প্রতিবেদন: কয়েকদিন আগেই কর্ণাটকে গভীর খালে ঝাঁপ দিয়েছিল বাস। মৃত্যু হয়েছিল ২৫ জনের। এবার হিমাচল প্রদেশে। সেতু ভেঙে নদীতে পড়ল যাত্রীবাহী বাস। মৃত্যু হল ৯ যাত্রীর। আহত বহু।
আরও পড়ুন-বাবা, তুমি এমন কথা কেন বললে? অনুব্রতের বিতর্কিত মন্তব্যে 'শাসন' মেয়ের
রবিবার বাসটি যাচ্ছিল হিমাচল প্রদেশের রেণুকাজি থেকে নাহানে। যাত্রীদের দাবি অনুযায়ী দূরন্ত গতির জন্য সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জালাল সেতু ভেঙে নীচে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাটি হয় রেণুকাজি-দাদাউ-নাহান রোডে খাদরি গ্রামের কাছে। সিমলা থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব ১৬৮ কিলোমিটার। সেতু থেকে নদীগর্ভের গভীরতা কমপক্ষে ৪০ ফুট বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিস আধিকারিক বীরেন্দ্র সিং ঠাকুর।
মৃত যাত্রীদের মধ্যে তিন মহিলা সহ ৪ জন মারা যান ঘটনাস্থলেই। বাকীদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত্যু হয় আরও ৫ জনের। আহত হয়েছেন ৫১ জন যাত্রী। এদের সবাইকে নিয়ে যাওয়া হয় নাহান মেডিক্যেল কলেজে।
আরও পড়ুন-এক্সক্লুসিভ: এলজিপি আঁচ থেকে বাঁচতে তৃণমূল-দিলীপ সখ্যতা?
পুলিস আধিকারিক বীরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে চালকের গাফিলতিতেই ওই দুর্ঘটনা হয়েছে। যাত্রীদের দাবি সেতু পার করার সময়ে সেটির গতি খুবই বেশি ছিল।
এদিকে, ওই দুর্ঘটনার কারণ জানতে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের আদেশ দিয়েছেন সিরমউরের ডেপুটি কমিশনার ললিত জৈন। আগামী ২০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। মৃতদের পরিবারপিছু ২০০০০ ও আহতদের ৫০০০ টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।