নিজস্ব প্রতিবেদন: শপথ নিলেন ৪৩ জন। বাদ পড়লেন ১২। আগে মন্ত্রিসভায় ছিলেন ৫৩ জন। সেই সংখ্যা বেড়ে হল ৭৭। নরেন্দ্র মোদী সরকারের দ্বিতীয় জমানায় মন্ত্রিসভার রদবদলে গুরুত্ব দেওয়া হল জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, অনুরাগ ঠাকুরের মতো তরুণদের। একইসঙ্গে থাকল আসন্ন উত্তরপ্রদেশ ভোটের সমীকরণও। সে রাজ্য থেকে ৭ জন নতুন মুখকে ঠাঁই দেওয়া হল মন্ত্রিসভায়। যোগীরাজ্য থেকে এখন প্রতিনিধির সংখ্যা বেড়ে হল ১৫। গুরুত্ব পেলেন শরিকরাও।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেন ১২ জন। এর মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন,শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী জাভেড়েকর ও আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদরা। পারফরম্যান্সের জন্য তাঁরা ছাঁটাই হয়েছেন বলে খবর। লক্ষণীয় বাজপেয়ী জমানাতে মন্ত্রী ছিলেন জাভেড়কর ও রবিশঙ্কর। এখন নিতিন গডকড়ি ও রাজনাথ সিং ছাড়া মন্ত্রিসভায় ওই জমানার কেউ থাকলেন না। অনেকেই বলছেন,বিগত জমানাকে বিদায় জানিয়ে নতুন কোর টিম গড়তে চাইছেন মোদী-শাহ।                


মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সরকার ফেলেছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে তার পুরস্কার পেলেন। বার্তা গেল, বিরোধী শিবিরের 'বিদ্রোহী' নেতাদের দলে নিয়ে দায়িত্ব দিতে কুণ্ঠিত নয় সরকার। এরই সঙ্গে প্রশাসনিক দক্ষতাকেও আমল দেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণ রানে ও সর্বানন্দ সোনোয়াল এলেন মন্ত্রিসভায়। আবার সাংঠনিক দক্ষতার পুরস্কার পেলেন ভূপেন্দ্র যাদব। রবিশঙ্কর ইস্তফা দেওয়ায় বিহার থেকে তাঁকে নেওয়া হল।           


সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় মোদী-শাহ শরিকদের পাত্তা দেন না বলে অভিযোগ করেছিল শিবসেনা, অকালিরা। সেই ক্ষোভও প্রশমনের চেষ্টা করে প্রাক্তন শরিকদের বার্তা দিল বিজেপি। আপনা দল, জেডিইউ ও এলজেপি-কে জায়গা দেওয়া হল মন্ত্রিসভায়। অনেকের মতে, করোনা পরিস্থিতি, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জেরে মোদীর জনপ্রিয়তার রেখচিত্র নিম্নগামী। ২০২৪ সালের অঙ্ক সাজাতেই শরিক মন জয়ের চেষ্টায় বাড়তি উদ্যোগ। 


আরও পড়ুন-'সিরিয়াসলি নিচ্ছি না', সৌমিত্রর 'আয়নায় মুখ দেখুন' খোঁচার জবাব Suvendu-র


 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)