নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আবহে লকডাউনের জেরে মাসের পর মাস থমকে গিয়েছে অর্থনীতির চাকা। রাজ্যগুলির ভাঁড়ার খালি। অন্য খাত থেকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিল তারা। কিন্তু, অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্ধৃত করে গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সংসদে দাবি করেন, কনসলিডেটেড ফান্ড থেকে রাজ্যগুলিকে জিএসটি আয়ের ক্ষতিপূরণ মেটানোর সংস্থান নেই আইনে। অথচ কার্যক্ষেত্রে সেই 'নিয়ম'ই ভেঙেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমন রিপোর্টই দিল কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (CAG)। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন,''সিএজি রিপোর্টে হাতেনাতে ধরা পড়ে গিয়েছে মোদী সরকার''   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিএজি (CAG) রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ সালে জিএসটি ক্ষতিপূরণ সেস ৪৭,২৭২ কোটি টাকা বেআইনিভাবে রেখে দিয়েছে কেন্দ্র। তা ব্যবহার করা হয়েছে অন্য ক্ষেত্রে। ফলে সরকারি হালখাতায় আয় বেড়েছে। কমেছে রাজকোষের ঘাটতি। ২০১৭ সালে সূচনা হয় জিএসটি-র। জিএসটি কমপেনশেসন সেস আইন (২০১৭) বলছে, রাজ্যগুলির যা লোকসান হবে, তা মেটানোর জন্য টাকা রাখার কথা নন-ল্যাপসেবল জিএসটি কমপেনসেশন সেস কালেকশন ফান্ডে। কিন্তু, ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থ বর্ষে ৪৭,২৭২ কোটি টাকা ওই খাতে পাঠানোই হয়নি। 


রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে বাজেটে ৯০ বাজার কোটি টাকার জিএসটি ক্ষতিপূরণ তহবিলের সংস্থানের কথা বলা হয়েছিল। ওই টাকাই ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার কথা রাজ্যগুলিকে। কিন্তু জিএসটি ক্ষতিপূরণ সেস উঠেছিল ৯৫,০৮১ কোটি টাকা। কিন্তু ৫৪,২২৫ কোটি টাকাই ট্রান্সফার করেছিল রাজস্ব দফতর। ১৫ হাজার কোটি টাকা আগে থেকে ছিল ওই খাতে। সেখান থেকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ হিসেবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দেওয়া হয় ৬৯,২৭৫ কোটি। ৩৫,৭২৫ কোটি টাকা ওই খাতে পাঠানো হয়নি। আর হকের ক্ষতিপূরণ ৯০ হাজার কোটি টাকা থেকে রাজ্যগুলি কম পেয়েছে ২০,৭২৫ কোটি। 


করোনা আবহে লকডাউনের জেরে রাজ্যগুলির জিএসটি থেকে আয় ধাক্কা খেয়েছে। কেন্দ্রের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়েছিল রাজ্যগুলি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, ''জিএসটি ক্ষতিপূরণ সেসই দেওয়া হয় রাজ্যগুলিকে। সেসের টাকা না থাকলে ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। কনসলিডেটেড তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম নেই বলে অভিমত দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।''


সিএজি-র রিপোর্ট মেনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। গরমিলের কথা স্বীকার করে অর্থমন্ত্রকের ব্যাখ্যা, আগামী বছরগুলিতে বাকি থাকা টাকা ওই খাতে পাঠানো হবে। কেন্দ্রকে নিশানা করে বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন,''৪৭,২৭২ কোটি টাকা লুকিয়ে সিএজি রিপোর্টে হাতেনাতে ধরা পড়ে গিয়েছে মোদী সরকার। জিএসটি আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে কেন? বর্ধিত আয় দেখিয়ে আমাদের ভাঁওতা দিয়েছে। আর রাজকোষ ঘাটতি কম দেখিয়ে বিভ্রান্ত করেছে আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থাগুলিকে।''


আরও পড়ুুন- করোনার আবহে প্রথম ভোট! বিহার বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করল কমিশন