নিজস্ব প্রতিবেদন- মহারাষ্ট্রের সমাজকর্মী হর্ষল প্রভু প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন গাড়িতে জাতি বা ধর্মসূচক লাগানো হবে। এই ধরণের স্টিকার যেমন দৃষ্টিকটূ, তেমনই জাতপাতের ভাবধারা সমাজে ছড়িয়ে দেয়। তিনি আইজিআরস-এ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে চিঠিতে জানিয়েছিলেন, এই ব্যাপারে অবিলম্বে যেন ব্যবস্থা করা হয়। না হলে সমাজে জাতপাতের বিভেদ আরও ছড়িয়ে পড়বে। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে তাঁর এই আবেদনে সাড়া দেওয়া হয়েছিল। সারা দেশের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের রাস্তায় এই জাতীয় স্টিকার লাগানো গাড়ির সংখ্যা সব থেকে বেশি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনকে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় পিএমও অফিস। তার পরই জাতপাত ও ধর্মসূচক স্টিকার লাগানো গাড়ি ধরপাকড় শুরু করে পুলিস। লখনৌতে এবার দেশের মধ্যে প্রথমবার জাতিসূচক স্টিকার লাগানো গাড়ির চালান কাটল পুলিস। কানপুরের বাসিন্দা আশিস সাক্সেনা। তিনিই গাড়িতে সাক্সেনা জি লিখে ঘুরছিলেন। হিন্দোলা থানার পুলিস নাকা চেকিং-এর সময় সাক্সেনা জি স্টিকার লাগানো গাড়িটিকে আটকায়। তার পর চালান কাটে। ওই গাড়ির কাঁচের উপর বড় বড় অক্ষরে লেখা ছিল সাক্সেনা জি।


আরও পড়ুন-  বাড়িতে বকুনি খেয়ে সোজা গোয়ায়, বাবার পকেট কেটে লাখ টাকার ফুর্তি করল কিশোর


লখনৌয়ের রাস্তায় এদিন বিভিন্ন গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করছিল পুলিস। সেই সময় ওই গাড়িটিকে আটকায় পুলিস। তার পরই পুলিস জানতে পারে, কানপুরের আশিস সাক্সেনার গাড়ি সেটি। তিনি অনেকদিন ধরেই গাড়ির পিছনের দিকে কাঁচে সাক্সেনা জি লিখে ঘুরছিলেন। এর পরই পুলিস সেই স্টিকারের ব্যাখ্যা চায়। তার পরই ১৭৭ ধারা অনুযায়ী সেই গাড়ির চালান কাটে পুলিস।