১০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে তদন্ত, অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা থাকছেন নাগেশ্বর রাও
দশ দিনের মধ্যে সিবিআই মামলার তদন্ত সম্পূর্ণ করতে হবে। পাশাপাশি সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের করা তদন্ত চলবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বাধীনেই। এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গোগৈয়ের বেঞ্চ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দশ দিনের মধ্যে সিবিআই মামলার তদন্ত সম্পূর্ণ করতে হবে। পাশাপাশি সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের তদন্ত চলবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বাধীনেই। এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- ১০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে তদন্ত, অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা থাকছেন নাগেশ্বর রাও
বুধবার ছুটির নির্দেশ পেয়েই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সিবিআইয়ের অধিকর্তা অলোক বর্মা। আজ, শুক্রবার ছিল শুনানির দিন। এ দিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন (সিভিসি)-কে মাত্র ১০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে তদন্ত। এই তদন্তের তদারকির জন্য সিভিসির মাথার উপর বসানো হল সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি একে পট্টনায়েক। প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, শুধুমাত্র দৈনন্দিন দায়িত্বের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এম নাগেশ্বর রাও। তবে, কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না তিনি। কেন্দ্রকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, সিবিআই অধিকর্তাদের অদলবদল করার সিদ্ধান্তের কারণ জানিয়ে ১২ নভেম্বরে মুখবন্ধ খামে জবাবদিহি করতে হবে।
কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা এ দিন সওয়াল করেন, সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ১০ দিনের সময়সীমা যথেষ্ট নয়। এছাড়া তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বের বিরোধিতা করেন কেন্দ্রের আইনজীবী তুষার মেহেতা। সিভিসি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মার আইনজীবী ফলি নরিম্যান বলেন, বর্মার ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কোনও আইন না মেনেই করা হয়েছে। এদিকে, আদালত আজ জানিয়ে দিয়েছে গত ২০ অক্টোবর থেকে অন্তর্বতিকালীন সিবিআই অধিকর্তা নাগেশ্বর রাও যেসব সিদ্ধান্ত নেবেন তা সবই আদালতের গোচরে আনতে হবে।
আরও পড়ুন- ‘রাফাল তদন্তে আতঙ্কিত প্রধানমন্ত্রী তাই রাতদুপুরে সরানো হয়েছে সিবিআই প্রধানকে’, কটাক্ষ রাহুলের
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার মধ্যরাতে জরুরিকালীন সিদ্ধান্তে সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মা এবং বিশেষ অধিকর্তা রাকেশ আস্থানাকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন। বর্মা এবং আস্থানার দ্বৈরথ যখন তুঙ্গে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে তখন আগুনে ঘি পড়ে। রাতারাতি ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তে বিতর্কের মুখে পড়ে মোদী সরকার। অলোক বর্মাকে সরানোয় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন বিরোধীরা। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল প্রশ্ন তোলেন, রাফাল নিয়ে তদন্ত শুরু করায় কি সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে সরানো হলো? কেন্দ্রের এমন হস্তক্ষেপে মমতা কটাক্ষ করে বলেছেন, সিবিআই পরিণত হয়েছে বিজেপি ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (বিবিআই)-এ।