ওয়েব ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এক মাসের তদন্তের পর আজ নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের ১৩ জন শীর্ষস্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এফআইআরে নাম রয়েছে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সহ-সম্পাদক তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ের। এই ১৩ জনের তালিকায় নাম রয়েছে লোকসভার সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায়ের বিরুদ্ধেও। নাম আছে সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত জেল খাটা তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন এবং ক্রীড়া মন্ত্রী মদন মিত্রেরও। এই এফআইআরের তালিকায় নাম রয়েছে আইপিএস মির্জারও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাংসদ সুলতান আহমেদ, সাংসদ ইকবাল আহমেদ, সাংসদ কাকলি ঘোষ, সাংসদ প্রসূন ব্যানার্জি, বিধায়ক তথা পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নাম রয়েছে সিবিআইয়ের এফআইআরের তালিকায়, এমনই খবর সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের। 


 



 



আজ সকাল থেকেই রাজ্য রাজনীতি তো বটেই গোটা দেশেরই নজর ছিল নারদ তদন্তে সিবিআই কী ভূমিকা নিতে চলেছে তার ওপর। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের স্টিং অপারেশন নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল বাংলার রাজনীতি। তবে ভোটের রায় গিয়েছিল অভিযুক্ত নেতা মন্ত্রীদের দলের পক্ষেই। হৈ হৈ করে জিতেছিল তৃণমূল। ক্ষমতায় এসে নারদকর্তা ম্যাথু স্যমুয়েলের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করে তৃণমূল। দাবি করা হয়েছিল নারদ স্টিং ভিডিও জাল। প্রাথমিক তদন্তের পর আদালত রায় দেয়, ভিডিও জাল নয়। এরপর ওই ভিডিও ফুটেজকে পাথেয় করেই নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতামন্ত্রীদের বিরুদ্ধে তদন্তের দায়ভার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রথমে ৭২ ঘণ্টা, পরে সময় বাড়িয়ে একমাস পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। একমাস পর তদন্ত করে তৃণমূলের ১৩ জন অভিযুক্ত নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল সিবিআই।