নিজস্ব প্রতিবেদন: নারদ মামলায় কি তাহলে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে তৃণমূল? হাইকোর্ট থেকে জামিনে স্থগিতাদেশ আদায়ের পর এবার শীর্ষ আদালতেও ক্যাভিয়েট দাখিল করল সিবিআই (CBI)। অর্থাত্‍ ৪ নেতামন্ত্রীকে গ্রেফতার করাই শুধু নয়, আইনি প্রক্রিয়ায়ও কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না তদন্তকারী সংস্থা। বরং সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) একতরফা শুনানি রুখতে তারা এই পদক্ষেপ করল বলে মনে করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত! সোমবার সকালে নারদ মামলায় কার্যত বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ফিরদাহ হাকিম (Firhad Hakim), সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee), মদন মিত্রের (Madan Mitra) মতো হেভিওয়েট নেতাদের গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। বাদ যাননি কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ও (Sovon Chatterjee)। এরপর তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। নিজাম প্যালেসে সিবিআই-র দফতরে যান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। প্রায় ঘণ্টা ছয়েক সেখানেই ছিলেন তিনি। নিজাম প্য়ালেসের সামনে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বিক্ষোভ চলে জেলায় জেলায়।


আরও পড়ুন: 'রাজ্য পুলিসে ভরসা নেই', SIT-এর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মৃত দুই BJP কর্মীর পরিবার


বিকেলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে অবশ্য জামিন পেয়ে যান ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়রা। কিন্তু তাতেও রেহাই মেলেনি। উল্টে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতে জামিন রায়ে স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট। ফলে রাতটা প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারে কাটাতে হয় নারদ মামলায় অভিযুক্ত ৪ নেতা-মন্ত্রীকে। সূত্রের খবর, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে তৃণমূল। সেকারণে তড়িঘড়ি শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করল  সিবিআইও। ফলে এই মামলায় তদন্তকারী সংস্থার  বক্তব্য না শুনে রায় দিতে পারবে না সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, নারদ মামলায় জামিনে স্থগিতাদেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিযুক্তরা। আগামিকাল অর্থাত্‍ বুধবার মামলাটির শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির এজলাসে।