জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এ যেন সন্দেশখালি ঘটনার পুনরাবৃত্তি। নেট-এর প্রশ্ন ফাঁসের তদন্তে গিয়ে বিহারের নওয়াদায় এক গ্রামে গিয়ে মার খেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাদের ঘিরে ধরে মারধর, গাড়ি ভাঙচুর করে গ্রামবাসীরা। রটিয়ে দেওয়া হয় ভুয়ো সিবিআই অফিসার সেজে গ্রামে ঢুকে অশান্তি করা হচ্ছে। এতেই তেতে ওঠে কাসিয়াড়ি গ্রামের মানুষজন। এলাকার পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ওই ঘটনার জেরে এখনওপর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রাজ্যে নয়া জঙ্গি মডিউল? পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় STF-র জালে 'লিঙ্কম্য়ান'!


সিবিআইয়ের ওই টিমে ছিলেন মোট ৪ অফিসার ও নাওয়াদা পুলিসের এক মহিলা কনস্টেবল। ভুয়ো অফিসার ভেবে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় তাদের গাড়ি। গ্রামবাসীরা দাবি করতে থাকেন, পুলিস ডাকুন তার পরে আপনাদের ছাড়া হবে। এদিন পুলিসে দুটি মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে মোবাইল দুটিকে উদ্ধার করে। প্রশ্ন ফাঁসে অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি হামলা করার জন্য ৪ গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করে পুলিস। ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে বাকীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। প্রসঙ্গত, প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠায় ইউজিসি


সিবিআইয়ের উপরে ওই হামলা নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, সিবিআইকে আর কেউ বিশ্বাস করে না। আমরা বারবার বলছি সিবিআই বিজেপির একটি শাখা সংগঠনের পরিণত হয়েছে।  সিবিআই বিজেপির লোকজনকে চিহ্নিত করে শাস্তি দেবে এটা কখনও সম্ভব নয়। যে পাহাড়প্রমাণ শিক্ষা দুর্নীতি হয়েছে তা সিবিআই তদন্তে সমাধান হওয়া সম্ভব নয়। তাই গ্রামের মানুষের এই প্রতিবাদ।


অন্যদিকে, বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বিভিন্ন রকম পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে মুখোমুখি হতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই আরজেডির নেতারা একটু লাফালাফি করে নিচ্ছে।


হামলা নিয়ে সিপিএম নেতা ও বিশিষ্টা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, এই হামলা হবে কারণ অভিযুক্তদের সঙ্গে হয়তো বিজেপির যোগাযোগ আছে। অথবা আরএসএসের কর্মীও হতে পারেন। তারা হয়তো চান না তদন্ত হোক। গ্রামবাসীদের উত্তেজিত করে দেওয়া সহজ। এর মধ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই আমার বিশ্বাস। পশ্চিমবঙ্গে যা হয়েছে তা এভার হচ্ছে বিহারে। এবার সর্বত্র এটা দেখা যাবে।


উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতির তদন্ত গিয়ে প্রায় এভাবেই সন্দেশখালিতে হামলার শিকার হন ইডি আধিকারিকরা। ঘটনার দিন তাঁরা যান শাহজাহান শেখের বাড়িতে। বহু চেষ্টা করেও শাহাজাহানকে তারা খোঁজ পাননি। তার পরেই তারা তার বাড়ির তালা ভাঙতে যান। এতেই তেতে ওঠে গ্রামবাসী। তারা হামলা চালায় ইডি আধিকারিকদের উপরে। ইটের ঘায়ে মাথা ফাটে দুই ইডি আধিকারিকের। ভাঙচুর করা হয় তাদের গাড়ি। কেড়ে নেওয়া ল্যাপটপ, মোবাইল-সহ অন্যান্য সামগ্রী। প্রাণ নিয়ে কোনও রকমে পালিয়ে আসেন ইডি আধিকারিকরা।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)