উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই, দিল্লির আবগারি নীতিতে অনিয়মের অভিযোগ
দিল্লির ডেপুটি সিএম মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে পৌঁছেছে সিবিআই-এর দল। মনীশ সিসোদিয়া নিজেই টুইট করে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি ট্যুইট করে বলেন, ‘সিবিআই এসেছে’।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিল্লির ডেপুটি সিএম মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে পৌঁছেছে সিবিআই-এর দল। মনীশ সিসোদিয়া নিজেই টুইট করে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি ট্যুইট করে বলেন, ‘সিবিআই এসেছে’। দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিসোদিয়ার বাসভবন সহ দিল্লি এবং এর আশেপাশের এলাকায় ২০ টিরও বেশি জায়গায় শুক্রবার সকালে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) তল্লাশি শুরু করেছে। দিল্লির আবগারি নীতিতে অনিয়মের অভিযোগে এই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মণীশ সিসোদিয়া ট্যুইট করেছেন, ‘সিবিআই এখানে আমার বাসভবনে রয়েছে। আমি তদন্ত সংস্থাকে সহযোগিতা করব, তারা আমার বিরুদ্ধে কিছু খুঁজে পাবে না’। অভিযানের খবর প্রকাশের পরেই এই ট্যুইট করেছেন তিনি।
দিল্লির আবগারি নীতিতে অনিয়মের অভিযোগে এই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মণীশ শিসোদিয়া ট্যুইট করেছেন। তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘সিবিআই এখানে আমার বাসভবনে রয়েছে। আমি তদন্ত সংস্থাকে সহযোগিতা করব, তারা আমার বিরুদ্ধে কিছু খুঁজে পাবে না।‘ অভিযানের খবর প্রকাশ্যে আসতেই এই ট্যুইট করেছেন তিনি। শিসোদিয়া বলেন যে এটা দুর্ভাগ্যজনক যে যারা দেশে ভাল কাজ করে তাদের এভাবে হয়রান করা হয়। তিনি ট্যুইটে আরও বলেন, 'তারা শিক্ষা ক্ষেত্রে আমার কাজ বন্ধ করতে পারবে না। সত্য বেরিয়ে আসবে'। তিনি টুইট করেছেন।
আরও পড়ুন: বিলকিস বানোর ধর্ষকরা 'ভালো সংস্কারের ব্রাহ্মণ', বিস্ফোরক দাবি বিজেপি বিধায়কের
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং আম আদমি আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন যে তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা এর আগের অনুসন্ধানের সময় কিছুই খুঁজে পাননি এবং এবারও কিছুই খুজে পাবেন না। সিবিআই গত বছরের নভেম্বরে আনা দিল্লির আবগারি নীতি প্রণয়ন এবং কার্যকর করার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।
এই সিবিআই হানা আপ সরকারের আনা নতুন আবগারি নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত। এই আবগারি নীতি ২০২১-২২ আনা হয় গত বছরের নভেম্বরে। এলজি ভি কে সাক্সেনা এর প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছেন।
এলজি দিল্লি সরকারের মুখ্য সচিবের কাছে এই বিষয় রিপোর্ট চেয়েছেম বলেও জানা গিয়েছে। সিএস নরেশ কুমারের প্রতিবেদনে মদের লাইসেন্সধারীদের অযাচিত সুবিধা প্রদানের জন্য ইচ্ছাকৃত এবং পদ্ধতিগত ত্রুটির অভিযোগ করা হয়েছে। এলজি মুখ্য সচিবকে এই নীতি বাস্তবায়নে কর্মকর্তা এবং সাধারণ কর্মচারীদের ভূমিকার তদন্ত করতে বলেছেন।
পুরনো আবগারি নিয়মে, সরকার ৬,০০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করত। কিন্তু নতুন আবগারি নীতির মাধ্যমে সরকার সারা বছরে ৯,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে বলে জানা গিয়েছে। আপের দাবি সিবিআই ও ইডির মাধ্যমে লাইসেন্সধারী এবং আবগারি আধিকারিকদের হুমকি দিচ্ছে বিজেপি। ৮৫০টি মদের দোকানের মধ্যে, মাত্র ৪৬৮টি দোকান খুলতে পেরেছিলেন মালিকরা। এর কারণ অনেকগুলি দোকানের মালিকরা বিজেপির হুমকির পরে দোকান বন্ধ করে দেন।
কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে মনীশ শিসোদিয়া বলেন যে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে দিল্লি সরকারের দুর্দান্ত কাজের কারণে এই লোকেরা সমস্যায় পড়েছেন এবং সেই কারণেই উভয় বিভাগের মন্ত্রীদের আক্রমণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আদালতে সত্য বেরিয়ে আসবে। শুক্রবার সকাল ১১টায় সাংবাদিক সম্মেলন করা হবে বলে জানানো হয়েছে আপের তরফে। সিবিআই হানার বিষয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলনে আপের তরফে বিবৃতি দেওয়া হবে অলেও জানানো হয়েছে।