নিজস্ব প্রতিবেদন : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই তত্পর সিবিআই। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ সদস্যের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। যে তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে থাকছেন ডিএসপি তথাগত বর্ধন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিবিআই সূত্রে খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রতিলিপি হাতে পাওয়ার পরই একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। ডিএসপি তথাগত বর্ধনের নেতৃত্বে এই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে আজই  বিশেষ তদন্তকারী দলটি সিবিআই ডিরেক্টর ঋষি শুক্লার সঙ্গে দেখা করবে। রণনীতি ঠিক করতে তাঁর সঙ্গে একটি বৈঠক করবে তদন্তকারী দলটি।


এরপর সম্ভবত আজই কলকাতা ফিরে আসবে তথাগত বর্ধনের নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দলটি। তারপর আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শিলং উড়ে যাবে দলটি। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, হাজিরার জন্য আজ সন্ধ্যা অথবা কালকে সকালের মধ্যেই নোটিস পাঠানো হচ্ছে কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারকে। জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে শিলংয়ে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হচ্ছে সিপিকে। মেল ও ফ্যাক্স করে পাঠানো হবে নোটিস।


সূত্রে খবর, সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে রাজীব কুমার যতক্ষণ সদুত্তর না দেবেন, ততক্ষণ তাঁকে জেরার পরিকল্পনা রয়েছে সিবিআই-এর। সুপ্রিম কোর্টে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ২০ ফেব্রুয়ারি। এই সময়কালের মধ্যেই রাজীব কুমারকে জেরার পর জেরা করে তাঁর কাছ থেকে উত্তর আদায় করতে চাইছে সিবিআই। জেরা চলাকালীন রাজীব কুমার তদন্তে সহযোগিতা করলেন কিনা বা সদুত্তর দিলেন কিনা, পরবর্তী শুনানির সময় সবটাই শীর্ষ আদালতে জানাবে সিবিআই। আর তারপর শীর্ষ আদালতের কাছ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে নির্দেশ চাইবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।  


আরও পড়ুন, সারদার 'মিসিং' লাল ডায়েরি কার কাছে? কী বললেন সুদীপ্ত সেন


উল্লেখ্য, এদিন সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সিবিআই-এর দায়ের করা মামলাটির শুনানি হয়। শুনানির প্রথম থেকেই সওয়াল জবাব পর্ব ছিল উত্তেজনাময়। শুনানির শুরুতে সিবিআই এদিন মুখবন্ধ খামে একটি হলফনামা জমা দেয় শীর্ষ আদালতে। যাতে সারদা ও রোজভ্যালি গ্রুপের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের যোগযোগ সম্পর্কে তথ্যপ্রমাণ আদালতের কাছে পেশ করে সিবিআই।


আদালতে সিবিআই অভিযোগ করে, "সিটের প্রধান হয়েও প্রভাবশালীদের আড়াল করেছেন রাজীব কুমার। সারদা মামলায় অসম্পূর্ণ ও বিকৃত তথ্য দিয়েছে সিট। সুদীপ্ত সেনের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ল্যাপটপ সিটের হাতেই ছিল। সুদীপ্ত সেনের মোবাইলও সিটের হাতে ছিল। সেই ল্যাপটপ, মোবাইল ফরেনসিকে পাঠানো হয়নি। সিবিআইকে যে কল ডেটা দেওয়া হয়েছিল, তা-ও বিকৃত করা হয়েছে।”


আরও পড়ুন, রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা অভিযোগের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট  


রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি সিবিআই-এর এই দাবি খারিজ করে বলেন, “রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে গত ৫ বছরে কোনও এফআইআর করা হয়নি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় তথ্য লোপাটের অভিযোগেও কোনও এফআইআর হয়নি রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে। তাঁর পদকে অবমাননা করা হয়েছে।” সওয়াল জবাবের পর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ কলকাতা পুলিস কমিশনারকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেয়। কোনও নিরপক্ষে স্থানে (শিলংয়ে) সিবিআই-এর সামনে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেয়।