নিজস্ব প্রতিবেদন: এক যুগ পর আবার বফর্স কেলেঙ্কারির তদন্ত করতে কেন্দ্রের সম্মতি চেয়ে আবেদন জানাল সিবিআই। প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকা কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকে দেওয়া চিঠিতে সিবিআই জানিয়েছে, ২০০৫ সালের ৩১ মে যে মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট বফোর্স কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হিন্দুজা ভাইদের মুক্তি দিয়েছিল সেই আদেশকে পুনরায় চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিমকোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করতে চায় তারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু, দিল্লি হাইকোর্টের ওই নির্দেশের ১২ বছর পর হঠাত্ কেন তাকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যেতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি? এই প্রশ্নের উত্তরে
সরকারি আধিকারিকদের একাংশ বলছে, রায় জানার পর ২০০৫ সালেই তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে চেয়েছিল সিবিআই। কিন্তু কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তত্কালীন ইউপিএ সরকার নাকি সিবিআই-কে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সম্মতি দেয়নি। তবে আইনজ্ঞদের একাংশ বলছে, ১২ বছর পর পুনর্তদন্ত করতে চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে সিবিআই-কে অনেকখানি কাঠখড় পোড়াতে হবে।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ৩১ মে দিল্লি হাইকোর্টের তত্কালীন বিচারপতি আর এস সোধি হিন্দুজা ভাইদের (শ্রীচাঁদ, গোপীচাঁদ এবং প্রকাশচাঁদ) এবং বফর্স সংস্থাকে সকল প্রকার অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়। পাশাপাশি, এই মামলার তদন্তে সিবিআই-কে তিরস্কারও করে আদালত। এর আগে ২০০৫ সালে দিল্লি হাইকোর্টের আরেক বিচারপতি জে ডি কাপুর বফর্স মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে নির্দোষ ঘোষণা করে ৪৬৫ ধারা অনুযায়ী বফর্স সংস্থার বিরুদ্ধে জালিয়াতির চার্জ গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।


বুধবার সিবিআই জানিয়েছে, বফর্স কাণ্ডে তারা মাইকেল হার্শম্যানের সংস্থার দেওয়া 'তথ্য ও পরিস্থিতি' খতিয়ে দেখতে চায়। উল্লেখ্য, আমেরিকার 'ফেয়ারফেক্স' নামক বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মাইকেল হার্শম্যান দাবি করেছেন যে, তত্কালীন রাজীব গান্ধী সরকার বফর্স তদন্তকে প্রভাবিত করেছিল। সম্প্রতি এক টেলিভিশন ইন্টারভিউতে তিনি আরও দাবি করেন, 'মন্ট ব্ল্যঁ' সুইশ অ্যাকাউন্টের কথা প্রকাশ্যে আসতেই রাজীব মারাত্মক ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এছাড়াও গত সপ্তাহে বেসরকারি গোয়েন্দা কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত এক আলোচনা সভায় এসে হার্শম্যান জানান, বফর্স কাণ্ডের ঘুষের টাকা রাখা হয়েছিল সুইশ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে।