নিজস্ব প্রতিবেদন : এনক্রিপটেড প্রশ্নপত্রে (কোড-এর মাধ্যমে) নয়, পুরনো নিয়মেই হবে সিবিএসসি-র দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঝুঁকি এড়াতে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ড ঠিক করেছিল চলতি বছর থেকে এনক্রিপটেড প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে ফের সিদ্ধান্ত বদল করে বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে পুরনো নিয়মে অর্থাত্ সাধারণ প্রশ্নপত্রে খাতায় কলমেই পরীক্ষার হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, আগামী  ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে হবে দশম শ্রেণীর পরীক্ষা, এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা। বিগত শিক্ষাবর্ষগুলিতে একাধিক প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছিল। কাজে প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে এই নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বোর্ড। গত বছর জুলাইতে এই বিষয়টি নিয়ে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলে। অগস্টে হায়দরাবাদের মাইক্রোসফটের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, প্রশ্নপত্রের অবৈধ ফাঁস রুখতে এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে তাঁদের সঙ্গে প্রযুক্তিগতভাবে একত্রিত হতে চলেছে সিবিএসসি বোর্ড। তবে একাধিক কারণে তা শেষ অবধি তা বাস্তবায়িত করা গেল না।


নয়া সিদ্ধান্তের পর শহরের বেশ কিছু স্কুলে শুরু হয় পাইলট রান। যে সমস্ত স্কুল এই পাইলট রানে অংশ নিয়েছিল তারা প্রত্যেকেই জানিয়েছে, এনক্রিপটেড প্রশ্নপত্রকে আপাতত বিকল্প পরিকল্পনা হিসাবেই রাখতে চায় বোর্ড। এই পাইলট রান ভাল ভাবে সম্পূর্ণ হলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় স্কুলগুলিকে। এনক্রিপটেড প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য কম্পিউটর, প্রিন্টার, পর্যাপ্ত বিদ্যুত সরবরাহ ইত্যাদির মতো আরও উন্নত ও স্বচ্ছ পরিকাঠামো দরকার স্কুলগুলির। পরীক্ষার দিন এর মধ্যে কোনও একটা পরিষেবায় যদি সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে সমস্যা মাত্রা ছাড়াতে পারে। কাজেই এই মুহূর্তে সেই ঝুঁকি নিতে নারাজ কর্তৃপক্ষ।                                      


তবে চলতি বছর যাতে পরীক্ষায় ত্রুটি মুক্ত হয় সে কথা মাথায় রেখেই পরীক্ষা সংক্রান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাটো করছে বোর্ড। পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর সময় কড়া নজরদারি থাকবে। প্রসঙ্গত, এর আগের শিক্ষাবর্ষগুলিতে একটি পর্যায়েই প্রশ্নপত্র পৌঁছে যেত স্কুলগুলিতে। তবে এবার এ ক্ষেত্রে নিয়মের কিছুটা বদল ঘটেছে। একবারে নয়, তিনটি পর্যায়ে প্রশ্নপত্র পৌঁছাবে স্কুলগুলোতে। ইতিমধ্যেই প্রথম দফার প্রশ্নপত্র পৌঁছে গিয়েছে স্কুলগুলিতে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে পরবর্তী দফার প্রশ্নপত্রও।


সূত্রের খবর, বোর্ড একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। পরীক্ষার দিন সিল করা প্রশ্নপত্রের খাম খোলার আগে সেই খামের ছবি তুলে অ্যাপে আপলোড করতে হবে ওদিন দায়িত্বে থাকা আধিকারিককে। পাশাপাশি ক্রমিক নম্বরও আপলোড করতে হবে ওই অ্যাপে।