নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরলের ত্রাণে বিদেশি অনুদান গ্রহণ করবে না ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ সূত্র থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। করলের বন্যায় ৭০০ কোটি টাকা ত্রাণ ঘোষণা করেছে আমিরশাহি প্রশাসন। তবে এবারই প্রথম নয়, ২০০৪ সালের সুনামিতেও বিদেশি সাহায্য গ্রহণ করেনি মনমোহন সিং সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ধর্ষণের হাত থেকে কিশোরীকে রক্ষা করল এক পোষ্য!


এনডিটিভিকে সরকারের এক সূত্র জানিয়েছে, আমিরশাহির পাঠানো ত্রাণ কেন্দ্র গ্রহণ করবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। এখনও পর্যন্ত দেশের কোনও বিপর্যয়ে বিদেশের সাহায্য গ্রহণ করেনি কেন্দ্র। প্রসঙ্গত ২০০৪ সালে সুনামির সময় বিদেশের সাহায্য নেয়নি মনমোহন সিংয়ের সরকার। কেরলের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের এক আধিকারিক। তাঁর কথায়, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিদেশমন্ত্রক। তবে, আমিরশাহি ত্রাণ সম্পর্কে কোনও তথ্য বিদেশমন্ত্রকের কাছে নেই বলে জানান ওই আধিকারিক।


বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রবাসী ভারতীয়দের সাহায্য গ্রহণ করতে কোনও অসুবিধা নেই কেন্দ্রের। তবে, সেই পাঠানো অর্থ উপর কি কর বসাবে সরকার? এই প্রশ্নের জবাবে বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের পাঠানো অর্থ অবশ্যই করমুক্ত হবে। এমনকি সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত  স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় পাঠানো অর্থও করমুক্ত হবে। তবে, যে সব সংস্থা সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত নয়, তাদের ক্ষেত্রে ওই সংস্থার আয় হিসাবে গন্য করা হবে।


আরও পড়ুন- ছাত্রীকে ২ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ, শিক্ষককে নগ্ন করে নিয়ে যাওয়া হল থানায়


উল্লেখ্য, কেরলের ভয়াবহ বন্যায় এখনও পর্যন্ত ৩৫০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ১০ লক্ষের মতো মানুষ ঘরছাড়া। রাজ্যের হিসেব বলছে, ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি দাঁড়াতে পারে। বন্যা পরবর্তী পর্বে দুর্গতদের পুনর্বাসন এবং স্বাস্থ্য পরিষেবায় আরও বেশি ত্রাণ প্রয়োজন বলে ইঙ্গিত দিয়েছে পিনারাই বিজয়নের সরকার।  কেন্দ্রের তরফে মঙ্গলবার কেরলকে ‘গুরুতর প্রাকৃতি দুর্যোগ’ বলে ঘোষণা করা হয়। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের থেকে ৬০০ কোটির টাকা সাহায্য পেয়েছে কেরল।


আরও পড়ুন- বখরি ইদে কাশ্মীরে উড়ল পাকিস্তান, আইসিসের পতাকা, গুলি করে মারা হল পুলিসকর্মীকে


কেন্দ্রের কাছে বাড়তি সাহায্য চেয়ে একের পর এক টুইট করতে দেখা গিয়েছে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীকে। মহত্মা গান্ধী গ্রামীণ রোজগার নিশ্চয়তা প্রকল্পে (এমজিএনআরইএ) ২৬০০ কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক সহয়তার আবেদন করেছেন তিনি। বিজয়নের আরও দাবি, দেশের জিডিপি-র ৩ শতাংশ কেরলের জন্য বরাদ্দ করা হয়ে থাকে। তা বৃদ্ধি করে ৪.৫ শতাংশ বরাদ্দ করা হোক। এর ফলে সাড়ে ১০ হাজার কোটির বাড়তি সহয়তা মিলতে পারে। পাশাপাশি কৃষি, সেচ এবং কেরলের গ্রামীণ পরিকাঠামো নতুন করে গড়ে তোলার জন্য কৃষি এবং গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নের জাতীয় ব্যাঙ্কের (নাবার্ড) সাহায্য দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।