বাংলা নেই, আছে কলকাতা, প্রজাতন্ত্র দিবসে জায়গা পেল শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর ট্যাবলো
কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টকে ট্যাবলো ভাবনায় ফুটিয়ে তুলেছে কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রক। যা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি কলকাতা বন্দরের ১৫০ তম বর্ষপূর্তি পালন করা হয় মহাসমারোহে
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রজাতন্ত্র দিবসে জায়গা পাচ্ছে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ট্যাবলো। শ্যামাপ্রসাদ মুখ্যোপাধ্যায়ের নামে সবে মাত্র বন্দরের নাম পরিবর্তন হয়েছে। আর এবারে গোটা দেশের কাছে বন্দরকেই ‘মুখ’ করে তুলতে চাইছে কেন্দ্র। আস্ত হাওড়া ব্রিজ,খেটে খাওয়া কুলি-মজুর, এবং পোর্টের ইতিহাস ফুটে উঠেছে ট্যাবলোয়।এবারে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে জায়গা পায়নি বাংলার কোনও ট্যাবলো। আগেই রাজ্য সরকারের দেওয়া প্রস্তাব খারিজ করেছে কেন্দ্র। যা নিয়ে বিস্তর রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়।
কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টকে ট্যাবলো ভাবনায় ফুটিয়ে তুলেছে কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রক। যা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি কলকাতা বন্দরের ১৫০ তম বর্ষপূর্তি পালন করা হয় মহাসমারোহে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসে উদযাপন করেন। মমতার যোগ দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতর শুরু হলেও শেষমেশ একই মঞ্চে মোদী-মমতাকে দেখা গিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের ট্যাবলো প্রত্যাখ্যানের ক্ষোভ জাহির করতে ভোলেননি মমতা।
আরও পড়ুন- মৃত্যুঞ্জয়ী সুভাষচন্দ্র: ১২৩তম জন্মদিনেও তাঁর মৃত্যু নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দেশবাসী
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, বিহার, কেরলের ট্যাবলোও বাতিল করে কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে ব্যাখ্যা করে বিরোধীরা। সিএএ-এনআরসি বিরোধী প্রতিবাদের জেরেই অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও কেন্দ্রের দাবি, ট্যাবলো বাছাইয়ে নির্দিষ্ট একটি কমিটির সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত হয়। ওই কমিটিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের শিল্পীরা থাকেন। তবে, পঞ্জাব, ওড়িশা, ছত্তীসগঢ়ের মতো অবিজেপি শাসিত রাজ্য ট্যাবলো প্রদর্শনে সুযোগ পেয়েছে। মোট ১৬টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল এবং ৬টি কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ওই তালিকা রয়েছে।
কন্যাশ্রী প্রকল্পকে সামনে রেখে ট্য়াবলো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। কিন্তু কেন্দ্রের যুক্তি, নতুনত্ব ভাবনা না থাকায় ওই প্রস্তাব গ্রাহ্য হয়নি। এই ধরনের প্রকল্প কেন্দ্র সরকারেরও রয়েছে। তৃণমূলের তোপ, কন্যাশ্রী প্রকল্প আন্তর্জাতিক স্তরে সমাদৃত। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরেই বাতিল করা হয়েছে বাংলার ট্যাবলো