নিজস্ব প্রতিবেদন: ৭০০ টন অক্সিজেন কেন্দ্রকে দিতেই হবে। রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই সমীক্ষা চালায় কেন্দ্র। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে ৬২ টি জায়গায় ঢুঁ দিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি যেখানে অক্সিজেন রিফাইলিং হয় সেখানেও নজর রেখেছিল। কেন্দ্র জানিয়েছে, দিল্লিকে যত অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে, তা অনেক বেশি। কেন্দ্রের অভিযোগ, দিল্লি অতিরিক্ত অক্সিজেন পাচ্ছে, যা ব্যবহার না করে কালোবাজারি করছে। দিল্লি অক্সিজেন নিয়ে এতটাই অশান্তি শুরু করেছে, যে জাতীয় অক্সিজেন সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন্দ্রের জানাচ্ছে, দিল্লি সরকার অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা, বিতরণ এবং খরচের যাবতীয় তথ্য সুপ্রিম কোর্টের হাতে দিতে অনীহা প্রকাশ করেছে। সূত্র মারফত, জানা গিয়েছে তারা অভিযোগ করেছে, দিল্লিতে অক্সিজেনের ব্যবহারের অপ্রতুলতা এবং ডাইভার্সন রিপোর্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে অক্সিজেন নিয়ে যে কালোবাজারি হচ্ছে তার সঙ্গে জড়িত দিল্লির মন্ত্রীরা।


অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রাখার অভিযোগে সম্প্রতি দিল্লির খাদ্য ও নাগরিক সরবরাহ মন্ত্রী ইমরান হুসেনকে দিল্লি হাইকোর্ট নোটিস দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্র জানিয়েছে , কেন্দ্র যদি যথাযথ প্রয়োজনীয়তা ছাড়া দিল্লিতে অক্সিজেন সরবরাহ করতে থাকে তবে তা অন্যান্য রাজ্যগুলিকে অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত করবে।


এই সপ্তাহের শুরুতে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসরণ করে, কেন্দ্র দিল্লিকে ৭৩০ মেট্রিক টন অক্সিজেন সরবরাহ করেছে। 


জাতীয় স্তরের এক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, যে সমীক্ষা কেন্দ্র চালিয়েছে, তা হল-


অক্সিজেনের যে ১১ টি রিফাইলিং স্টেশন ঘুরে দেখেছে কেন্দ্র সেখানে দেখা গিয়েছে, স্টক রয়েছে ১১৭ মেট্রিক টন। রোজ ব্যবহার হচ্ছে ৮২ মেট্রিক টন। মজুত রাখার ক্ষমতা ১৮৭ মেট্রিক টন। 


হাসপাতাল ও  রিফাইলিং স্টেশনে সম্প্রতি স্টক রয়েছে ৪৪৫ মেট্রিক টন। রোজ ব্যবহার হচ্ছে ৩৬৯ মেট্রিক টন। মজুত রাখার ক্ষমতা ৭০৯ মেচ্রিক টন।