অস্তিত্ব না থাকলেও জিও ইনস্টিটিউটকে ‘উৎকর্ষ প্রতিষ্ঠান’-এর মর্যাদা কেন্দ্রের
জিও ইনস্টিটিউটটি তৈরি হওয়ার কথা নভি মুম্বইয়ে। তার আগেই কীভাবে এটি উৎকর্ষ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পেল তা নিয়ে হইচই শুরু করেছে কংগ্রেস
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ইনস্টিটিউট অব এমিনেন্সের বা উৎকর্ষ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দিল কেন্দ্র। এদের মধ্যে ৩টি সরকারি ও ৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এই মর্যাদা পাওয়ার পর সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি কেন্দ্রর কাছ থেকে বিশেষ অনুদান পাবে। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু সমস্যা হয়েছে ৩ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটিকে নিয়ে। এটি হল মুকেশ আম্বানির জিও ইনস্টিটিউট। এই প্রতিষ্ঠানটি এখনও চালুই হয়নি।
আরও পড়ুন-ফাইনালে কে? ফ্রান্স না বেলজিয়াম! আজ লাল বনাম নীলের লড়াই সেন্ট পিটার্সবার্গে
দেশের যেসব প্রতিষ্ঠান উৎকর্ষ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পেল তার মধ্যে রয়েছে দিল্লি আইআইটি, বম্বে আইআইটি, বেঙ্গালুরুর আইআইএসসি, মণিপাল অ্যাকাডেমি অব হায়ার এডুকেশন, বিটস পিলানি ও জিও ইনস্টিটিউট। এই জিও ইনস্টিটিউটটি তৈরি হওয়ার কথা নভি মুম্বইয়ে। তার আগেই কীভাবে এটি উৎকর্ষ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পেল তা নিয়ে হইচই শুরু করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি সরকার মুকেশ ও নীতা আম্বানিকে ফের একবার সুবিধে পাইয়ে দিয়েছে। জিও ইনস্টিটিউট এখনও তৈরিই হয়নি। তাকে উৎকর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারের উচিত ওই ধরনের মর্যাদা দেওয়ার আগে তার মাপকাঠি ঠিক করা।
আরও প্রতিষ্ঠান-যাদবপুরে প্রবেশিকা কি ফিরছে? আজ ইসি-র বৈঠকে সিদ্ধান্ত
এনিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। বলা হয়েছে ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী সম্পূর্ণ নতুন প্রতিষ্ঠানকেও ওই মর্যাদা দেওয়া যায়। এদিকে, প্রশ্ন উঠছে প্রতিষ্ঠানের রেকর্ড দেখেই তাকে উৎকর্ষ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেয় সরকার। সেখানে জিও ইনস্টিটিউটের কোনও রেকর্ডই নেই। কীভাবে দেওয়া হল ওই মর্যাদা।