নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রবল চাপে মুখে এনআরসি নিয়ে সংসদে লিখিত বিবৃতি দিতে বাধ্য হল সরকার। মঙ্গলবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই  জানিয়ে দিলেন, এখনও পর্যন্ত দেশজুড়ে নাগরিকপঞ্জী তৈরির করার কোনও পরিকল্পনা নেয়নি সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ফের স্বাভাবিকের নীচে নামল পারদ, আগামিকাল হতে পারে বৃষ্টিও


কখনও অমিত  শাহ কখনও প্রধান মন্ত্রীর বিবৃতি-এনআরসি লাগু করা নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল দেশজুড়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বয়ানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বয়ানের কোনও মিল পাওয়া যাচ্ছিল না। দিল্লি ভোটের মুখে সেই সমস্যার অবসান ঘটানোর চেষ্ট করল সরকার।



মঙ্গলবার সিএএ নিয়ে প্রবল হইহট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা। কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলের সাংসদের প্রতিবাদে লোকসভার কাজ চালানো দুস্কর হয়ে যায় স্পিকারের পক্ষে। বাধ্য হয়েই সভার কাজ মুলতুবি করে দিতে হয়।  স্পিকার বলেন, সিএএ ইস্যুতে খোদ অমিত শাহ সংসদে দাঁড়িয়ে এনিয়ে বক্তব্য রাখবেন। তার পরেও শান্ত হয়নি বিরোধীরা।  প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতিরও দাবি তোলেন তাঁরা।


আরও পড়ুন-সামনেই পুরভোট, মতুয়ার ‘মন’ পেতে আজ পুরোদমে বনগাঁয় মমতা


সংসদে দাড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ গত বছর  জোর দিয়ে বলেন, দেশজুড়েই আমরা এনআরসি লাগু করব। কিন্তু শীতকালীন অধিবেশনে  নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পর সিএএ-র পাশাপাশি এনআরসি নিয়েও দেশজুড়ে সরব সাধারণ মানুষ।  দিল্লির শাহিনবাগ,  কলকাতার পার্ক সার্কাস, লখনউয়ের ঘণ্টাঘর সহ দেশের একাধিক জায়গায় রাস্তায় নেমে পড়েন সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই গত জানুয়ারি মাসে সংসদে অমিত শাহ জানান, দেশজুড়ে এখনই এনআরসি লাগুর পরিকল্পনা নেই সরকারের।  ধোঁয়াশার শুরু সেখান থেকেই।


গত মাসে রামলীলা ময়দানের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনাই  হয়নি মন্ত্রিসভায়। ফের তৈরি হয়ে সমস্যা।  এনআরসি নিয়ে ধোঁয়াশা আরও গাঢ় হয়। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে সংসদে অমিত শাহ জোর দিয়ে এনআরসি লাগুরকথা বললেন কীভাবে।  তার পরেই চাপ আরও বাড়তে থাকে সরকারের ওপরে। শেষপর্যন্ত লিখিত বিবৃতি দিয়েই এনআরসি সম্পর্কে সরকারের অবস্থা জানাতে বাধ্য হল কেন্দ্র।