নিজস্ব প্রতিবেদন: জল্পনা ছিল কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সংঘাতে পদত্যাগ করতে পারেন উর্জিত প্যাটেল। এই আশঙ্কার মধ্যেই আজ সোমবার মুম্বইয়ে বসছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিচালন বোর্ডের বৈঠক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অমৃতসরের বিস্ফোরণে নিহত ৩, জখম কমপক্ষে ১০, জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট


বৈঠকে আজ একগুচ্ছ কড়া প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে গভর্নর উর্জিত প্যাটেলকে। এর মধ্যে রয়েছে এমএসএমই শিল্পক্ষেত্র ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করা, শীর্ষ ব্যাঙ্কের সম্পদ সহ একাধিক বিষয়। উর্জিত প্যাটল ও তাঁর ৪ সহকর্মী মুখোমুখী হবেন অর্থমন্ত্রকের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি ও কয়েকজন স্বাধীন ডিরেক্টরের। শীর্য ব্যাঙ্কের কেন্দ্রীয় বোর্ড রয়েছেন মোট ১৮ জন সদস্য।


সূত্রের খবর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কোষাগারে গচ্ছিত রয়েছে প্রায় ৯ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্র চাইছে ওই টাকার এক তৃতীয়াংশ অর্থমন্ত্রকের হাতে তুলে দিক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সরকারের দাবি ওই টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উদ্বৃত্ত। রাজনৈতিক মহলের দাবি ওই টাকা নিয়ে ভোটের আগে বাজার চাঙ্গা করতে চায় সরকার। এদিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দাবি, সরকার ব্যাঙ্ক পরিচালনার ক্ষেত্রে নাক না গলাক।


লোকসভা নির্বাচনের আগে নগদের ঘাটতিতে ভুগতে থাকা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে চাঙ্গা করতে উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্র। পাশাপাশি কেন্দ্রের দাবি, অনাদায়ী ঋণে জর্জরিত ১২টি রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কের নয়া ঋণনীতি শিথিল করুক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গত ২৩ অক্টোবরের বৈঠকে এনিয়ে সরকারের সঙ্গে ব্যাঙ্কের সংঘাত লেগে যায়। তবে মনে করা হচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে সংঘাত এড়িয়ে একটি ঐক্যমতে আসতে চায় সরকার। কারণ হঠাত করে উর্জিত পদত্যাগ করলে তা সরকারের পক্ষে ভালো হবে না। বিরোধীরা এনিয়ে ইতিমধ্যেই অস্ত্রে শান দিতে শুরু করেছে।


আরও পড়ুন-দিলীপ ঘোষের কনভয় ও জয় ব্যানার্জির গাড়িতে হামলা! সোমবার প্রতিবাদের ডাক বিজেপি-র


উল্লেখ্য, সরকার মনে করছে এমএসএমই সেক্টরে কর্মরত ১২ কোটি কর্মী দেশের অর্থনীতিতে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। তাদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। নোটবন্দি ও জিএসটি চালুর পরে ওই সেক্টরের প্রবল ক্ষতি হয়েছে। ফলে তাদের ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করুক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু এনিয়ে বেঁকে বসেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।


রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ডে সরকার নিয়োজিত প্রতিনিধি এস গুরুমূর্তি, সুভাষ চন্দ্র গর্গ ও রাজীব কুমার আজকের বৈঠকে বড় ভূমিকা নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই তিনজনই বেশ কিছুদিন ধরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন কর্মপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন। বোর্ডে রয়েছেন অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাটি, টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্র শেখরন, ভরত দোশীর মতো ব্যকিত্বরা। এরাও কী বক্তব্য রাখেন সেটাও দেখার।