নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে ‘ঐতিহাসিক দিন’ ঘোষণা করল সরকার। অন্যদিকে বিরোধীরা এই দিনটিকে ‘কালা দিবস’ বলে কটাক্ষ করলেন। সংসদের উভয় কক্ষ উত্তাল হয়ে উঠল কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে। এ দিন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে নজিরবিহীন ভাবে সমর্থন করতে দেখা গেল আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো তথা কেন্দ্রশাসিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে। তিনি এ দিন টুইট করে জানান, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত। আশা করি রাজ্যে উন্নয়ন এবং শান্তি ফিরে আসবে আশা করি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


অন্য দিকে, এনডিএ-র শরিক জনতা দল ইউনাইটেড কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে। প্রবীণ জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী জানান, এই বিলের বিরোধিতা করে জয়প্রকাশ নারায়ণ, রাম মনোহর লোহিয়া এবং জর্জ ফার্নান্ডেজের ভাবনা বহন করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এমডিএমকে-এর তরফে দাবি কাশ্মীরের মানুষের ভাবাবেগ নিয়ে খেলা করল কেন্দ্র।



আরও পড়ুন- ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রস্তাব, সংবিধানের প্রতিলিপি ছিঁড়ে রাজ্যসভায় তোলপাড় পিডিপি সাংসদের


উল্লেখ্য, আজ রাজ্যসভায় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করার প্রস্তাব জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর সঙ্গে ৩৫এ ধারাও বাতিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সই করে দেওয়ার পর কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে অসংবিধানিক বলে আখ্যা দেন বিরোধীরা। রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজ়াদ জানান, সংবিধানকে খুন করল বিজেপি। কাশ্মীরে মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হল বলে অভিযোগ জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদ্দুলা। আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির অভিযোগ, ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্ধকারতম দিন। ৩৭০ বাতিল অবৈধ এবং অসংবিধানিক। উপমহাদেশে এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে।


কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে এআইএডিএমকে, শিবসেনা, বিএসপি। উদ্ধব ঠাকরের দলের তরফে জানানো হয়, “আজ জম্মু-কাশ্মীর নিয়েছি। কাল বালুচিস্তান, পাক অধিকৃত কাশ্মীর নেব। বিশ্বাস করি, অখণ্ড ভারত তৈরির স্বপ্নপূরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।”