বিধি মানতে রাজি? `শীঘ্র, সম্ভব হলে আজই জানান`, ফেসবুক-টুইটারকে কড়া চিঠি কেন্দ্রের
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি `মধ্যস্থতাকারী নির্দেশিকা ও ডিজিটাল নীতি বিধি` প্রণয়ণ করে কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্রের নতুন বিধি মানতে কি রাজি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম? 'যত শীঘ্র, সম্ভব হলে আজই জানান'। চিঠি দিয়ে জানাল বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি 'মধ্যস্থতা নির্দেশিকা ও ডিজিটাল নীতি বিধি' প্রণয়ণ করে কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। ওই বিধি মানার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে দেওয়া হয়েছিল ৩ মাস সময়। সেই অনুযায়ী বুধবার থেকে কার্যকর হচ্ছে নয়া বিধি। সরকার চিঠি দিয়ে জানাল,'বিধি কার্যকর করা হয়েছে কিনা তা সত্ত্বর, সম্ভব হলে আজই জানানো হোক।'
নতুন বিধি অনুযায়ী, ভারতের সার্বভৌমত্ব, সুরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা লঙ্ঘন করে এমন বার্তা কোথা থেকে পাঠানো হচ্ছে, তা জানাতে হবে সরকারকে। আইনি নির্দেশিকার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট বার্তা মুছে ফেলতে হবে। সমস্ত রকম অভাব-অভিযোগের জন্য নিয়োগ করতে হবে এক আধিকারিককে। নোডাল আধিকারিক, অভিযোগ সংক্রান্ত সেলের আধিকারিকের নাম-যোগাযোগের তথ্য ও ভারতে কোম্পানির অফিসের ঠিকানা জানাতে হবে সরকারকে।
ফলে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আর শুধু বার্তার প্রেরণের 'মাধ্যম' হয়ে থাকছে না। সে কারণে আইনি ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে চলেছে তারাও সরকারি নির্দেশিকা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ফেসবুক ও গুগল সম্মতি দিয়েছে। তবে বিষয়গুলি নিয়ে আরও আলোচনা চেয়েছে ফেসবুক। এখনও পর্যন্ত অবস্থান স্পষ্ট করেনি টুইটার।
আরও পড়ুন- ব্যক্তির গোপনীয়তা তো বটে কোনও মৌলিক অধিকারই চূড়ান্ত নয়, Whatsapp-কে জবাব কেন্দ্রের