নিজস্ব প্রতিবেদন: মনে আছে শাহরুখ খান অভিনীত চক দে ইন্ডিয়া ছবির কথা? আর্থিকভাবে দুর্বল, প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা থেকে উঠে আসা মেয়েদেরকে নিয়ে ভারতীয় হকির টিম তৈরি করা হয়। তারপর বিশ্বের দরবারে তাদের বিরাট সাফল্যের ঘটনাও দেখানো হয় সেই ছবিতে। ঠিক সেরকমই আরও একটি ঘটনা। তবে রূপোলি পর্দা নয়, এবার বাস্তবে। ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের হেড কনস্টেবল ৯ জন মেয়েকে গত চার বছর ধরে হকি খেলার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। ওই নয়জন ছত্তিশগড়ের জঙ্গলের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দা। তাদের স্পপ্ন এখন উড়ান ধরার আশায়। খেলার জন্য সম্পূর্ণ তৈরি তারা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই নয় কন্যা, স্থানীয় মার্দাপাল কন্যা আশ্রমে পড়াশোনা করছে। এখন দিনে দেখা স্বপ্ন তাদের হাত ছানি দিয়ে ডাকছে। সাব জুনিয়র এবং জুনিয়র ন্যাশানাল উইমেন হকিতে নির্বাচিত হয়েছে তাদের নাম। চার বছর আগে ওই এলাকায় মাওবাদীদের উপর কড়া নজর রাখতে মোতায়েন করা হয়  ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ। 


তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন কনস্টেবল সূর্য স্মিত। খেলার জন্য যাবতীয় সরঞ্জামের জোগান দেয়  ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ। স্থানীয় হেলিপ্যাডের উপর তাদের খেলার জায়গা করা হয়। পিছিয়ে পড়া জাতির মহিলাদের ক্ষমতা ও নিজের পরিচয় গড়ে তুলতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইটিবিপির আধিকারিকরা।


আরও পড়ুন: রাস্তা আটকে টোন-টিটকিরি দিত অভিযুক্তরা! হাথরসে নির্যাতিতার মায়ের চাঞ্চল্যকর দাবি


 জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে তাঁরা ঠিকভাবে হকি স্টিক ধরতে পারত না। এমনকি জুতো পরে খেলতে তাদের অসুবিধা হত। কারণ, তাঁরা সব সময় খালি পায়ে হেঁটে-চলাতেই অভ্যস্ত ছিল। এদের বয়স এখন ১৪ থেকে ১৭ এর মধ্যে। 


এতেই শেষ নয়, এই নয়জন কিশোরীকে দেখার পর এলাকার আর জনা পঞ্চাশ মেয়ে এখন আগ্রহী হয়ে উঠেছে হকি খেলায়।