ওয়েব ডেস্ক: দেশের ২৯ রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সম্পদের তালিকা প্রকাশ করেছে অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্ম। তাতে দেখা ‌যাচ্ছে, দেশের ধনীতম মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। দরিদ্রতম ত্রিপুরার মানিক সরকার। তবে দরিদ্র হওয়ার '‍দৌড়'-এ মানিকবাবুর ঘাড়ের কাছেই নিশ্বাস ফেলছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্বাচনের মনোনয়ন পেশের সময় জমা দেওয়া সম্পত্তির হলফনামায় অনুসারে তৈরি হয়েছে এই তালিকা।
তালিকায় দেখা ‌যাচ্ছে, দেশের ধনীতম মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। তাঁর সম্পদের পরিমান ১৭৭ কোটি টাকা। এর পরেই রয়েছেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খান্ডু। তাঁর সম্পদের পরিমান ১২৯ কোটি টাকা। 
তৃতীয় স্থানে রয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। তাঁর সম্পদের পরিমান ৪৮ কোটি টাকা। 
দেশের সব থেকে কম সম্পদশালী মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরার মানিক সরকার। মাত্র ২৬ লক্ষ টাকার সম্পদ রয়েছে তাঁর। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হলফনামায় ৩০ লক্ষ টাকা সম্পদের মালিক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি। তাঁর সম্পদ ৫৫ লক্ষ টাকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন - ২৪ ঘণ্টা পার, শ্রীনগরে সিআরপিএফ ক্যাম্পে এখনও চলছে জঙ্গি-সেনা গুলির লড়াই
পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ৩১ জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ২৫ জন কোটিপতি। শতকরার নিরিখে ‌যা ৮১ শতাংশ। মুখ্যমন্ত্রীদের গড় সম্পদের পরিমান ১৬ কোটি টাকা। দেশের ৫৫ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রীদের সম্পদ ১ থেকে ১০ কোটির মধ্যে। ১৯ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রীদের সম্পদের পরিমান ১ কোটির কম।
ফৌজদারি মামলার তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। তাঁর বিরুদ্ধে ২২টি মামলা রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তাঁর বিরুদ্ধে ১১টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তৃতীয় স্থানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ১০টি মামলা। 
দেশের ৩১ জন মুখ্যমন্ত্রীর ২০ জনের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা নেই। 
শিক্ষাগত ‌যোগ্যতার দিকে সব থেকে এগিয়ে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং। ডক্টরেট রয়েছে তাঁর। এছাড়া ৩৯ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রী স্নাতক। ৩২ শতাংশ পেশাদার। ১৬ শতাংশের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে। ১০ শতাংশের উচ্চশিক্ষার সু‌যোগ হয়নি।