নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের চন্দ্রাভিযান একশো শতাংশ সফল না হলেও ইসরোর সেই প্রচেষ্টা নজর কেড়েছে গোটা বিশ্বের। শনিবার মধ্যরাতে শেষ মুহূর্তে চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার দূরে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয় ইসরোর। ইসরোর এই প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-এক নয়, ৭ বছর চাঁদের কক্ষপথে থাকবে অরবিটার, মিশন ৯০ থেকে ৯৫% সফল: ইসরো  


নাসার পক্ষ থেকে একটি টুইট করে জানানো হয়েছে, ‘মহাকাশ খুবই চ্যালঞ্জিং জায়গা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ইসরোর চন্দ্রযান ২ নামানোর চেষ্টার প্রশংসা করছি। আপনারা আমাদের উত্সাহ দিয়েছেন। আশাকরি ভবিষ্যতে মহাকাশ গবেষণায় আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’



চন্দ্রাভিযানের আগেই এর সম্পর্কে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, চন্দ্রযান ২ এর অভিযান অত্যন্ত জটিল একটি বিষয়। আগের অভিযানগুলির তুলনায় এটি অনেকবেশি উন্নত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এখনও কোনও অভিযান হয়নি। সেখানেই কাজ করবে চন্দ্রযান ২।



উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টম্বর চন্দ্রযান ২ এর অরবিটারের সঙ্গে সফলভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় ল্যান্ডার বিক্রমের। তা পর থেকেই শুরু হয়েছিল দাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার ওপরেই বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর।



আরও পড়ুন-আগামী ১৪ দিনে ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করবে ইসরো: কে শিবন


শুক্রবারই নাসা জানিয়েছে, এই ধরনের অভিযানের ৬০ শতাংশই ব্যর্থ হয়েছে। গত বছর ইজরায়েলের চন্দ্রাভিযানও সফল হয়নি। ইসরোর মতে এই অভিযান ৯০-৯৫ শতাংশ সফল হয়েছে। ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও কাজ করবে অরবিটার। ইসরো চেয়ারম্যান বলেন, ''অভিযানের প্রতিটি ধাপের সাফল্যের পর্যালোচনা হয়েছে। ১০০ শতাংশের কাছাকাছি সফল হয়েছে মিশন।'' অরবিটারের আয়ু একবছর ভাবা হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত জ্বালানি থাকায় সেটি সাড়ে সাত বছর চাঁদের কক্ষপথে থাকবে বলে জানিয়েছেন শিবন।