জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিসেভেনফোরসেভেন। একটা কাস্টোমাইজড কারগো। যা প্রাণীদের বহন করবে। আপাতত সেটি নামিবিয়া থেকে চিতা নিয়ে জয়পুরে ল্যান্ড করবে। ১৭ সেপ্টেম্বর এই চিতাগুলিকে ভারতের বনাঞ্চলে ছাড়া হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়েই এই বিশেষ কাজটি হবে। 'বিসেভেনফোরসেভেন'-এর মুখ চিতার মুখের মতো আঁকা। এই ছবিটাই এই যানটির উদ্দেশ্য বুঝিয়ে দিচ্ছে। এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে খাঁচাভর্তি প্রাণী নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে নির্মিত হয়েছে এই এয়ারক্র্যাফ্ট। আপাতত সাভানা উপত্যকার চিতাদের সে নিয়ে আসছে ভারতে। এই বিশেষ ট্রান্সলোকেশন প্রোজেক্টটি দেখাশোনা করছেন কয়েকজন প্রাণীরোগ বিশেষজ্ঞ। নামিবিয়া থেকে ফিরে প্লেনটা নামবে জয়পুরে। তারপর চিতাগুলিকে হেলিকপ্টারে চাপিয়ে মধ্যপ্রদেশের শেওপুর জেলার কুনো ন্য়াশনাল পার্কে নিয়ে যাওয়া হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত এই কাজটি হচ্ছে আসলে 'আফ্রিকান চিতা ইন্ট্রোডাকশন প্রোজেক্ট ইন ইন্ডিয়া' প্রকল্পের আওতায়। এটার পরিকল্পনা করা হয়েছিল ২০০৯ সালেই। এর সূত্রে গত বছরেই ভারতীয় ন্যাশনাল পার্কে বন্যপ্রাণ নিয়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে তা বিলম্বিত হয়।


আরও পড়ুন: India to host G-20 Summit: জি-২০ সভাপতিত্ব পাচ্ছে ভারত, আয়োজন করতে পারবে অন্তত ২০০ বৈঠক


কিন্তু 'আফ্রিকান চিতা ইন্ট্রোডাকশন প্রোজেক্ট ইন ইন্ডিয়া' প্রকল্পের আওতায় কেন মধ্যপ্রদেশের শেওপুর জেলার কুনো ন্য়াশনাল পার্ককেই বেছে নেওয়া হল নামিবিয়ার চিতার আবাসস্থল হিসেবে? কারণ একমাত্র এই অরণ্যাঞ্চলেই রয়েছে চিতাদের শিকার করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রাণী। এটাকে পোশাকি ভাষায় 'গুড প্রে বেস' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কুনো ন্য়াশনাল পার্কে রয়েছে সেই কাম্য 'গুড প্রে বেস'। এখানে রয়েছে চিংকারা, স্পটেড ডিয়ার, ব্ল্যাকবাক। অনায়াসে যাদের শিকার করে খেয়ে পেট ভরাতে পারবে নামিবিয়ার এই ভারতীয় অতিথিরা।


প্রসঙ্গত, এশিয়ার চিতা বিলুপ্ত। ১৯৫২ সালেই ভারতে এই এশীয় চিতাকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে যেদিন মহারাজা রামানুজ প্রতাপ সিংদেও তাঁর বন্দুকের গুলিতে চিতার শেষ সদস্যটিকে হত্যা করেছিলেন, সেদিনই এ দেশে চিরকালের মতো শেষ হয়ে গিয়েছিল চিতার সংসার।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)