নিজস্ব প্রতিবেদন- কী হবে মানব জাতির ভবিষ্যৎ! শেষ পর্যন্ত কি একটা ভাইরাস এর কাছে হার মানতে হবে নাকি মানব জাতিকে! নাকি প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জিতবে মানবজাতি! কিছুই এখন নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। বিভিন্ন দেশের প্রশাসনের কাছে লকডাউন ছাড়া এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার আর কোনো রাস্তা নেই। কোনওরকম প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি। বিভিন্ন দেশের কয়েক লাখ গবেষক দিনরাত এক করে চেষ্টা করছেন করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করার! এখনো পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষের প্রাণ গিয়েছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। বাঘা বাঘা ভাইরোলজিস্ট এই ভাইরাসকে জব্দ করতে কাহিল হয়ে পড়ছেন। অনেকে বলেছেন, রাসায়নিক গবেষণাগার থেকেই এই ভাইরাসের জন্ম। তবে বহু বিজ্ঞানী এমনও বলেছেন, প্রকৃতি থেকেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি। এই দুপক্ষের মধ্যে যখন দড়ি টানাটানি চলছে তখন চেন্নাইয়ের এক পরমাণু বিজ্ঞানী চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেই বিজ্ঞানী বলছেন, সূর্য গ্রহণের সঙ্গে এই ভাইরাসের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তার এমন দাবির পর দেশের বিজ্ঞানী মহল নড়েচড়ে বসেছে। চেন্নাইয়ের পরমাণু বিজ্ঞানী এই ভাইরাসের ভবিষ্যত বলে দিচ্ছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কবে নাগাদ এই ভাইরাস পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে! পরমাণু বিজ্ঞানী ডঃ কে সুন্দর কৃষ্ণা জানিয়েছেন, একুশে জুলাই সূর্য গ্রহণের পর এই পৃথিবী থেকে কমতে শুরু করবে করোনার প্রকোপ। তিনি দাবি করে বলেছেন, করোনা কোনওভাবেই রাসায়নিক ল্যাবরেটরি থেকে উৎপন্ন করা হয়নি। এটি একটি মহাজাগতিক ঘটনা। মহাকাশ থেকেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি এবং সেটা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে। চেন্নাইয়ের বিজ্ঞানী বলছেন, গত বছর ২৬ ডিসেম্বর ছিল সূর্যগ্রহণ। তারপর থেকেই চিনে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। অর্থাৎ সূর্য গ্রহণের পরই এই ভাইরাসের উৎপত্তি। তাই পরবর্তী সূর্যগ্রহণ অর্থাৎ একুশে জুন এই ভাইরাসের বিনাশ হবে।


আরও পড়ুন- হ্যান্ড স্যানিটাইজার বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে দেশের, বলছে গোয়েন্দাদের রিপোর্ট


চেন্নাইয়ের এই বিজ্ঞানী আরও বলেছেন, ২৬ ডিসেম্বর সূর্য গ্রহণের পর পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের স্তরে রাসায়নিক বদল ঘটেছিল। সেই সময়ে এই ভাইরাসের জন্ম। সূর্য গ্রহনের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তড়িদাহত কণাগুলির মধ্যে বড় রাসায়নিক বদল হয়। এই বায়ো নিউক্লিয়ার রিঅ্যাকশন এর ফলে নিউট্রনের বদল শুরু হয়। সেই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ভাইরাসের নিউক্লিয়াস তৈরি হয়। সূর্য গ্রহনের সময় তৈরি হওয়া বায়ো নিউক্লিয়ার ইন্টারঅ্যাকশন বিভিন্ন ভাইরাস সৃষ্টির অন্যতম কারণ। এই স্তরকে বলা হয় ডি লেভেল। আগামী একুশে জুন সূর্যের বলয়গ্রাস পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হবে। সেদিনও বায়ুস্তরে বিভিন্ন রাসায়নিক বদল ঘটবে। তখনই এই ভাইরাসের বিনাশ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি তাঁর।