নিজস্ব প্রতিবেদন: অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে ছত্তিসগঢ় সরকার। বৃহস্পতিবার এমন অভিযোগ করলেন খোদ  প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভাইঝি তথা কংগ্রেস নেত্রী করুণা শুক্লা। তাঁর দাবি, গত ১০ বছরে একবারও বাজপেয়ীর নাম নেননি ছত্তিসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং। এখন রাজনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যে চিতাভস্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করুণা বলেন,''নিজের ভাষণে কখনও অটল জি-র নাম মুখে আনেননি রমন সিং। কোনও গুরুত্বই দেননি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। এখন ওনার চিতাভস্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন''। করুণা আরও বলেন,''গত ৯ বছরে একটাও নির্বাচনী প্রচারে অটলকে স্মরণ করেননি রমন সিং''। উল্লেখ্য, বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন করুণা।    


অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুরই পরই যেভাবে তাড়াহুড়ো করে সরকারি প্রকল্পগুলির নামকরণ তাঁর নামে করা হয়েছে, তা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন করুণা শুক্লা। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াণের পর রমন সিং ঘোষণা করেছেন, ২০০০ সালে এই রাজ্য গঠনে ভূমিকা ছিল অটল বিহারী বাজপেয়ীর। তাঁর স্মৃতিতে নয়া রায়পুরের নামকরণ অটল নগর করা হবে। তৈরি করা হবে একটি স্মৃতিসৌধও। বাজপেয়ীর একটি আবক্ষমূর্তিও বসানো হবে নয়া রায়পুরে। 


দেশের প্রতিটি রাজ্যে অটল বিহারী বাজপেয়ীর চিতাভস্ম ভাসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। সেই মতো বুধবার নয়াদিল্লিতে গিয়ে চিতাভস্ম নিয়ে আসেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ছত্তিসগঢ়ে চিতাভস্ম নিয়ে আসেন সে রাজ্যের বিজেপি সভাপতি ধর্মলাল কৌশিক। বিজেপি সভাপতিদের হাতে চিতাভস্ম তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।


 রায়পুরের স্বামী বিবেকানন্দ বিমানবন্দরে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং। সেখান থেকে শোভাযাত্রা করে বাজপেয়ীর চিতাভস্ম নিয়ে যাওয়া হয় শহরের পুরনো বিজেপি কার্যালয়ে। একটি রথের আদলে তৈরি যানে রাখা হয়েছিল চিতাভস্ম। শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন বহু মানুষ। ফুলও ছুড়েছেন অনেকে। 


গত বৃহস্পতিবার দিল্লির এইমসে প্রয়াত হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অটলের প্রয়াণে দল ও দেশের ছড়িয়ে পড়ে শোকের আবহ। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় শেষকৃত্যের তোড়জোড়। সকালে দিল্লির বাসভবনে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিজেপির নবনির্মিত সদর দফতরে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান হাজার হাজার মানুষ। শেষ যাত্রায় অন্যান্যদের সঙ্গে হাঁটেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বিকেলে দিল্লির রাষ্ট্রীয় স্মৃতি স্থান শ্মশানে পঞ্চভূতে বিলীন হয় অটল বিহারীর দেহ। সমাপন হয় এক যুগের। 


আরও পড়ুন- দেশভাগের পর বাংলাদেশ মুসলিমদের, পশ্চিমবঙ্গ হিন্দুদের: রূপা