নিজস্ব প্রতিবেদন: ছত্তীসগঢ়ে সেনা-মাওবাদী সংঘর্ষে শহিদ হন ২৩ জওয়ান। এখনও পর্যন্ত আহত হয়েছেন ৩১ জন। ছত্তীসগঢ়ের জঙ্গলে মাওনেতা হিদমার (Hidma) লুকিয়ে থাকার খবর গোপন সূত্রে পেয়ে সিকমা-বিজাপুর সীমান্তে এনকাউন্টার অভিযান চালায় পুলিস। কিন্তু সময়ের সাথে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে এই ঘটনায়। জওয়ানদের আসলে ফাঁদে ফেলবারই চেষ্টা করেছিল মাওবাদীরা। জানা গিয়েছে, যে জায়গায় মাও নেতা হিদমা থাকার কথা বলে বাহিনীকে নিয়ে তথ্য দেওয়া হয়, সেখানে আগে থেকেই সশস্ত্র মাওবাদীরা অপেক্ষা করছিল। বাহিনী নামতেই সেখানে চলতে থাকে গুলি। যদিও সত্যতা এখনও সামনে আসেনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: তল্লাসি অভিযানে ২০০০ আধাসেনা, উদ্ধার ১০ মাওবাদীর লাশ, জরুরি বৈঠকে Shah


জানা গিয়েছে, এই হিদমা হল তাবড় মাওবাদী নেতা। সম্প্রতি যার মাথার দাম ৪০ লাখ টাকা। আর এই নেতা থাকার টোপ দিয়েই সম্ভবত জওয়ানদের ওপর হামলা চলে। ৪০ বছর বয়সী এই হিদমা সুকমা জেলার পূভার্তি গ্রামের এক আদিবাসী নেতা। নব্বইয়ের দশকে মাওবাদীদের দলে যোগ দেন। পিপলস্ লিবারেশন গরিলা আর্মি (People's Liberation Guerrilla Army) নামে সংগঠন চালান হিদমা। ক্ষিপ্র ও মারণাত্মক হত্যার জন্য কুখ্যাত এই নেতা। মাওবাদী দন্ডকারণ্য বিশেষ আঞ্চলিক কমিটির সদস্যও তিনি। CPI (Maoists) এর কনিষ্ঠতম সদস্য হিদমা। বহুদিন ধরেই আড়ালে আবডালে থাকা এই মাও নেতার কোনো সাম্প্রতিক ছবি নেই। ভিম মান্ডবী হত্যা  মামলায় ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট রয়েছে।  


আরও পড়ুন: ভোটের বাংলায় ব্রাত্য করোনা টেস্ট,বেলেঘাটা আইডিতে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসকও


ছত্তীসগঢ়ের মাওবাদী এনকাউন্টারে (Chhattishgar Mao Encounter) জলকষ্টেও কিছু জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত সহকর্মীদের কাঁধে নিয়ে ফেরার সময় জল বা খাবার ব্যাগ থেকে বার করে ওজন কমাতে হয়। ফলে ফেরার পথে জলের অভাবে  বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয় বলেও দাবি করা হয়েছে। বর্তমানে মাওবাদীদের খোঁজে ওই এলাকায় তল্লাশি চলাচ্ছেন জওয়ানরা।