মোদীকে পাল্টা, ‘পরিবারতন্ত্রে’র বাইরে একাধিক কংগ্রেস সভাপতির তালিকা তুলে ধরলেন চিদাম্বরম
শনিবার একাধিক টুইট প্রকাশ করে কংগ্রেস নেতা বলেন, বাবাসাহেব অম্বেদকর, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, মনমোহন সিং মতো স্বাধীনতার পরবর্তী নেতাদের পাওয়ায় কংগ্রেস গর্বিত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মোদী প্রশ্ন তুলেছিলেন, গান্ধী পরিবারের বাইরে একজন নেতাকে সভাপতি করে দেখাক কংগ্রেস, তবে ভাববো নেহরুজি দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন। উত্তরে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম দীর্ঘ তালিকা ধরিয়ে দিলেন।
শনিবার একাধিক টুইট প্রকাশ করে কংগ্রেস নেতা বলেন, বাবাসাহেব অম্বেদকর, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, মনমোহন সিং মতো স্বাধীনতার পরবর্তী নেতাদের পাওয়ায় কংগ্রেস গর্বিত। স্বাধীনতাত্তরে এমন একাধিক নজিরও রয়েছে।
আরও পড়ুন- ছাত্রীদের স্কুটার; বেকারদের ১০ লাখ চাকরি, মধ্যপ্রদেশে শিবরাজের ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা
শুক্রবার ছত্তীসগঢ়ে অম্বিকাপুরে এক জনসভায় নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘সাড়ে চার বছর পরেও আমাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে পারছে না কংগ্রেস। এক জন চা-ওয়ালা কীভাবে প্রধানমন্ত্রী হলেন, তা ভেবে কংগ্রেস এখনও কাঁদছে।’
বিতর্কের সূত্রপাত হয় এক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে গিয়ে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর একটি মন্তব্যে। তিনি বলেন, নেহরু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলেই, আজও একজন চা-ওয়ালা প্রধানমন্ত্রী হন। এমন ‘বিদ্রুপের’ প্রতিক্রিয়া দিতে সময় নেননি প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনী সভায় রাহুল গান্ধীকে এক হাত নিয়ে মোদী বলেন, ‘এখনও মেনে নিতে পারছেন না, আমি প্রধানমন্ত্রী হয়েছি।’
বিরোধী বধে বিজেপির যেমন মোক্ষম অস্ত্র ‘পরিবারতন্ত্র’, তেমনই কংগ্রেসের কাছে রয়েছে রাফাল, আরবিআই, সিবিআই, জিএসটির একাধিক অস্ত্র। এ দিন চিদাম্বরম বলেন, কংগ্রেসের কে সভাপতি হচ্ছে, তা নিয়ে মোদী যে চিন্তিত, এর জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট করছেন তিনি। স্বাধীনতার পর কংগ্রেস সভাপতির একটি তালিকা তুলে ধরেন চিদাম্বরম। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন আচার্য কৃপালানি, পট্টবি সীতারামাইয়া, পুরুষোত্তমদাস ট্যান্ডন, জগজীবন রাম, শঙ্কর দয়াল শর্মা প্রমুখ।
আরও পড়ুন- চলে গেলেন বাস্তবের ‘বর্ডার’-এর আসল নায়ক ব্রিগেডিয়ার চান্দপুরি
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, যদি তার অর্ধেক সময় জিএসটি, নোটবাতিল, রাফাল, আরবিআই, সিবিআই নিয়ে কেন তিনি বলছেন না? আরও একটি টুইটে চিদাম্বরমের মন্তব্য, কৃষক হত্যা, বেকার সমস্যা, নারী এবং শিশু অত্যাচার, ধর্ষণ, গো রক্ষকদের তাণ্ডব, সন্ত্রাস- এ সব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কেন কিছু বলছেন না?