কর্নাটকে বেসামাল জোট সরকার! দেবগৌড়ার সঙ্গে দেখা করলেন কুমারস্বামী
পরিস্থিতির মোকাবিলায় সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার এবং বেনুগোপালের সঙ্গে ‘রুদ্ধদ্বার বৈঠক’ করেন কুমারস্বামী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্নাটকে এখন বেসামাল জোট সরকার। ১৩ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ার পর এখন রীতিমতো সরকার টিকিয়ে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস-জেডিএস জোট। চাপের মুখে আমেরিকা থেকে তড়িঘড়ি বেঙ্গালুরু ফিরেছেন কুমারস্বামী। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, রবিবার কংগ্রেস বিধায়ক রামলিঙ্গ রেড্ডির সঙ্গে বেঙ্গালুরুতেই গোপনে বৈঠকে বসেন কুমারস্বামী। এ দিকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের ১০ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক রবিবার সারাদিন ঘরবন্দি থাকলেন মুম্বইয়ের সোফিটেল হোটেলে।
রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে বিক্ষুব্ধ বিধায়ক এস টি সোমশেখর জানান, যে ১৩ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন, তাঁদের পদত্যাগ প্রত্যাহারের প্রশ্নই নেই। মঙ্গলবার কংগ্রেসের সংসদীয় বৈঠকে তাঁরা উপস্থিত থাকবেন না বলেও জানিয়ে দেন সোমশেখর।
পরিস্থিতির মোকাবিলায় সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ কংগ্রেস নেতা ডিকে শিবকুমার এবং বেনুগোপালের সঙ্গে ‘রুদ্ধদ্বার বৈঠক’ করেন কুমারস্বামী। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান, রাজ্যের রাজনৈতিক সংকটের মোকাবিলায় এবং একই সঙ্গে বিজেপিকে ঠেকাতে কৌশল নির্ধারণের জন্যই এই বৈঠক হয়। এই বৈঠকে মন্ত্রীসভায় রদবদলের প্রসঙ্গেও আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বৈঠকের পর দেবগৌড়ার সঙ্গেও দেখা করেন কুমারস্বামী।
গত বছর মে মাসে কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেস ও জেডিএস একজোটে বিজেপিকে টপকে কর্নাটকে সরকার গঠন করে। রাজ্যের জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন কুমারস্বামী। কিন্তু ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বে বিজেপি ফের কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর দূরত্ব বাড়তে থাকে কংগ্রেস-জেডিএস-এর মধ্যে।
আরও পড়ুন: মিলিন্দের পর জ্যোতিরাদিত্যের ইস্তফা, কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে থাকার জোর জল্পনা
এই টানাপড়েনের মধ্যেই শনিবার বিধানসভার স্পিকারে দফতরের পক্ষ থেকে ১৩টি পদত্যাগপত্র জমা পড়ার কথা জানানো হয়। একসঙ্গে ১৩ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় এই মুহূর্তে ২২৪ আসনের বিধানসভায় জেডিএস-কংগ্রেস জোট এবং বিজেপি— দু’পক্ষেরই মোট আসন সংখ্যা ১০৫। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস বা জেডিএস থেকে আরও বিধায়ক ইস্তফা দিলে কর্নাটকে সরকার গড়ার দরজা খুলে যাবে বিজেপির জন্য। ১২ জুলাই কর্নাটক বিধানসভার পরবর্তী অধিবেশন। রাজ্যে জোট সরকার থাকবে, নাকি বিজেবি নতুন সরকার গড়বে— এ দিনেই বিষয়টা আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে।