মোদী-মমতার মধ্যাহ্ন ভোজন কী আসলে `লাঞ্চ লবি`
গতকাল, ১৬ই জুলাই দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রায় এক দশক পরে বসেছিল আন্তঃরাজ্য পরিষদের বৈঠক। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মতোই ওই বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সকালের দিকে চায়ে পে চর্চা দিয়ে শুরু হয় এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সকালের চায়ের আসরে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই দেখা যায় অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রীদের। কিন্তু আসল রাজনীতির ছোঁয়া ছিল এর পরেই, লাঞ্চ টেবিলে।
ওয়েব ডেস্ক: গতকাল, ১৬ই জুলাই দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রায় এক দশক পরে বসেছিল আন্তঃরাজ্য পরিষদের বৈঠক। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মতোই ওই বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সকালের দিকে চায়ে পে চর্চা দিয়ে শুরু হয় এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সকালের চায়ের আসরে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই দেখা যায় অধিকাংশ মুখ্যমন্ত্রীদের। কিন্তু আসল রাজনীতির ছোঁয়া ছিল এর পরেই, লাঞ্চ টেবিলে।
সন্ত্রাস ঠেকাতে রাজ্যগুলিকে আরও সতর্ক ও আপডেটেড থাকার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
এই দিন, রাইসিনা হিলসে, রাষ্ট্রপপতি ভবনে মুখ্যমন্ত্রীদের ভোজনের জন্য ছিল এলাহি আয়োজন। আর সেখানে একই টেবিলে খেতে বসলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, মমতা ব্যানার্জী, সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য তথা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহ এবং বিহারের নীতিশ কুমার।
কালকের এই 'লাঞ্চ লবি' দুটি কারণে তাত্পর্যপূর্ণ। প্রথমত, সিপিএমের কোনও শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে এই প্রথম মমতা ব্যনার্জীকে এক টেবিলে খাওয়া দাওয়া করার মত ঘণিষ্ঠ আলাপচারিতায় দেখা গেল। যা নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন। আর দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নরেন্দ্র মোদী বেছে বেছে তাঁর বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেই খেতে বসেছিলেন যাতে বৈঠক চলা কালীন তাঁদের বিরোধীতার ঝাঁঝ খানিকটা কমে যায়। আসলে এটা ছিল নরেন্দ্র মোদীর তরফে আন্তরিকতার মাধ্যমে বিরোধী মনোভাবাপন্ন মুখ্যমন্ত্রীদের খানিকটা নিজের দিকে নিয়ে আসার কৌশল।