অনেক উপর থেকে ছুঁড়ে দেওয়া হয় শিশুদের, ভাগ্য আছে যার সেই বাঁচবে, এটাই ধর্মীয় রীতি (ভিডিও)
বীজাপুরের প্রাচীন প্রথা। ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেতে শিশুকে ছুঁড়ে ফেলা হবে একটা উচ্চতা থেকে আর সেই শিশুকে লুফে নিয়ে (ক্যাচ ধরে) মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। যে শিশু বেঁচে ফিরবে সেই ঈশ্বরের আশীর্বাদ ধন্য। আর যে শিশু প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরবে না, সে হবে `বলি`। বীজাপুরের মানুষ এই প্রাচীন রীতি মেনে আসছেন বহুকাল আগে থেকেই, এখনও মানেন। ভারত `ডিজিটাল ইন্ডিয়া` হবে, আর দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে থেকে যাবে এমন `কুসংস্কারে`র প্র্যাকটিস।
ওয়েব ডেস্ক: বীজাপুরের প্রাচীন প্রথা। ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেতে শিশুকে ছুঁড়ে ফেলা হবে একটা উচ্চতা থেকে আর সেই শিশুকে লুফে নিয়ে (ক্যাচ ধরে) মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। যে শিশু বেঁচে ফিরবে সেই ঈশ্বরের আশীর্বাদ ধন্য। আর যে শিশু প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরবে না, সে হবে 'বলি'। বীজাপুরের মানুষ এই প্রাচীন রীতি মেনে আসছেন বহুকাল আগে থেকেই, এখনও মানেন। ভারত 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া' হবে, আর দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে থেকে যাবে এমন 'কুসংস্কারে'র প্র্যাকটিস।
কর্ণাটকের রাইচুরের শ্রী সন্তেশ্বর মন্দিরে প্রতি বছরই এই 'ধর্মীয় উৎসবে' সামিল হন গ্রামের মানুষ। ২ বছরের নীচে যে শিশুর বয়স, তাঁদের ওপরই চলে এই 'ভয়াল প্র্যাকটিস'। এই রীতি পালন করা মানুষের কাছে সুস্বাস্থ্য ও ভাগ্যের প্রতীক।
এই ধর্মাচরণে রয়েছে নারীপুরুষের ভেদও। ছেলে শিশু হলে ১০০ টাকা আর শিশুকন্যার জন্য ৫০ টাকা দিলেই পুরোহিত শিশুকে স্পর্শ করবেন এবং ওপর থেকে ভাগ্য পরীক্ষার জন্য ছুঁড়ে দেন। বলা হয়, ৭০০ বছর আগে থেকেই এই রীতি চলে আসছে। তাই প্রশাসনও নির্বিকার।