নিজস্ব প্রতিবেদন- দুরাত্মার ছলের অভাব হয় না। চিনা সেনার ক্ষেত্রেও এমন কথা বলাই যায়। দিনের পর দিন ধরে ভারতীয় ভূথণ্ডে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কখনও পাহাড় ডিঙিয়ে, কখনও মোটরবোটে চেপে লাদাখে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছে তারা। ভারতীয় সেনা জওয়ানদের অতন্দ্র প্রহড়ার জন্য বারবার তাদের সেই অসত্ উদ্দেশ্য ব্যর্থ হচ্ছে। ছলে-বলে-কৌশলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা বজায় রাখত চাইছে পিএলএ। ভারত-চিন সীমান্তের উত্তেজনা কমছে তো না-ই, বরং রোজ দিন যেন নতুন পথে প্রসারিত হচ্ছে। আর এমন অবস্থায় চিনা সেনার আরেক কাণ্ডের কথা জানা যাচ্ছে। এবার লাদাখের প্যাঙ্গন লেকের ফিঙ্গার ফোর-এর কাছাকাছি এলাকায় ারা লাউডস্পিকার লাগিয়ে পাঞ্জাবি গান বাজাচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চিনা সেনা হিন্দিতে প্ররোচনামূলক ভাষণও চালাচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কোনও কারণ নেই যে ভারতীয় সেনার জওয়ানদের মানসিকভাবে বিরক্ত করাই তাদের উদ্দেশ্য। মার্চ মাস থেকেই প্যাংগং হ্রদের উত্তর পাড়ে চিনা আগ্রাসন চলছে। এর পর দক্ষিণ প্রান্ত বরাবর ভারতীয় ভূখণ্ডে থাকা একাদিক শিখর দখল করার চেষ্টা করেছিল পিএলএ। তবে প্রতিবারই ভারতীয় সেনা তাদের মুখের উপর জবাব দিয়েছে। এরই মধ্যে হাতাহাতি, গুলি চালানোর মতো ঘটনার কথাও শোনা গিয়েছে। দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলোচনায় বসেও সীমান্ত উত্তেজনা কমানার রাস্তা খুঁজে বের করতে পারেননি। গত এক মাসে একাধিকবার চিনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে দখল নেওয়ার চেষ্টা করেছে। বারবার তাড় খেয়ে ফিরতে হয়েছে তাদের।


আরও পড়ুন-  ৭০-এ ৭০ হাজার চারাগাছ রোপণ, বিশেষভাবে সেলিব্রেট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন


শীতেও পূর্ব লাদাখে থাকার জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। আর তাই শীতের পোশাক, পর্যাপ্ত রেশন মজুত করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তবে এবার চিন অন্য রাস্তা নিয়েছে। জানা যাচ্ছে, নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দিতে স্লোগান বাজাচ্ছে চিনা সেনা। বলা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারে ভুল নীতির জন্যই শীতেও এবার ভারতীয় সেনাকে লাদাখে থাকতে হবে। তবে চিনা সেনার তারস্বরে হিন্দি গান বাজানোর পিছনে অন্য কোনো কারণও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। হয়তো সীমান্ত এলাকায় খোদাই বা নির্মাণ কাজের আওয়াজ চাপা দিতে তারা হিন্দি গান বাজাচ্ছে। কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছে না ভারতীয় সেনা। এর আগে ১৯৬২ সালেও পূর্ব লাদাখে শীতের সময় সেনা পাহাড়ায় ছিল।