নিজস্ব প্রতিবেদন: চেন্নাই বিমানবন্দরেও যেন কার্নিভালের ঝলক! দুপুর ২.২০ নাগাদ ‘এয়ার চাইনা’ বিমান থেকে নেমে এলেন চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। তাঁকে পুস্পস্তবক দিয়ে অভ্যর্থনা জানান তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিত, মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী, উপমুখ্যমন্ত্রী পনিরসেলভম। এরপরই ‘অতুল্য ভারতের’ নমুনা প্রদর্শন করা হয় জিনপিংয়ের সামনে। ভারতীয় বাজনা, নৃত্য, সংস্কৃতির ঝলকে মুগ্ধ হয়ে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েও রইলেন জিনপিং। বলা যায় এ দিন শুধুই নিরাপত্তায় নয়, জিনপিং-কে সম্মান জানাতে লাল রঙেও মুড়ে ফেলা হয় চেন্নাই বিমানবন্দর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


মমল্লপুরমের আজই শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত্ হবে নরেন্দ্র মোদীর। জানা যাচ্ছে প্রায় ৬ ঘণ্টা দুই রাষ্ট্রপ্রধান একসঙ্গে কাটাবেন। এর মধ্যে প্রতিনিধিদের নিয়ে ৪০ মিনিটের মুখোমুখি বৈঠক রয়েছে। এরপর যৌথ বিবৃতি দেবেন মোদী-জিনপিং। গত বছর পর এই প্রথম মহাবলীপুরমে ঘরোয়া আলোচনা হতে চলেছে শি জিনপিং এবং মোদীর মধ্যে। বাণিজ্য, নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদের পাশাপাশি কাশ্মীর প্রসঙ্গও উঠে আসতে পারে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সূত্রে খবর, অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ নিয়ে আলোচনায় জোর দিতে চাইছে না নয়া দিল্লি।



ভারতের আসার আগে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন শি জিনপিং। এবং সরকারিভাবে যৌথ বিবৃতি দেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। কাশ্মীর নিয়ে তাঁদের অবস্থানে ক্ষুব্ধ নয়া দিল্লি। তা পরোক্ষভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে পাল্টা নয়া দিল্লির বিবৃতিতে। কাশ্মীর সমস্যা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে অন্য কোনও দেশের নাক গলানো ভাল চোখে নেবে না ভারত। নয়া দিল্লির এই অবস্থান জেনেই দু’দিনের সফরে আসছেন তিনি।


আরও পড়ুন- ঘরোয়া আলোচনা সরাতে চেন্নাইয়ের মমল্লপুরম কেন? এখানেও কি মোদীর কূটনৈতিক কৌশল?


উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ডোকলাম ইস্যু নিয়ে টানা ৭৩ দিন ভারত ও চিনের মধ্যে চাপানউতোর তৈরি হয়। যা পরবর্তীকালে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনার মাধ্যমেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও এর পরেও ডোকালাম ও লাদাখে চিনা সেনার সঙ্গে বিবাদে জড়ায় ভারতীয় সেনা। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুই দেশের অবস্থানের স্থায়ী সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা চালাতে পারেন মোদী-জিনপিং। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মার্কিন-চিন শুল্ক যুদ্ধে আবহে জিনপিংয়ের এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের বিপুল বাজার ধরতেই কিছুটা দায়ে পড়েই মোদীর সঙ্গে শি জিনপিং বৈঠক বসতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারতের মাটিতে চিন কী প্রতিক্রিয়া দেবে, সে দিকে মুখিয়ে রয়েছেন কূটনৈতিক কারবারিরা।