দিনের পর দিন লুকিয়ে গেঁড়েছিল তাবু, `আগ্রাসী` লাল ফৌজকে চরম শিক্ষা দিল গালওয়ান নদীই
গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা কমাতে একের পর এক বৈঠক করে চলেছে দুদেশ। কিন্তু এর মধ্যেই সীমান্ত ঘেঁসে নিজেদের ভূখণ্ডে সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে চিন
নিজস্ব প্রতিবেদন: গালওয়ান উপত্যকায় ঘাঁটি গেঁড়ে ভয়ানক বিপদে চিনা সেনা। গালওয়ান নদীই এখন প্রধান শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে পিএলএ-র।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার নিকটবর্তি যে অঞ্চলে ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে সেখান থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে তাঁবু খাটিয়েছিল চিনা সেনা। সংবাদমাধ্যমের খবর, ওই সব তাঁবু এখন গালওয়ানের ফুঁসে ওটা জলে ভেসে যাচ্ছে। ফলে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছে চিনা সেনা।
আরও পড়ুন-দামি মাস্ক নাকি সাশ্রয়ী ফেস শিল্ড, করোনা থেকে বাঁচতে কোনটা বেশি নিরাপদ?
আকসাই চিন থেকে উত্পত্তি হয়েছে গালওয়ান নদীর। সেখানে তাপমাত্রা বেশ বেড়েছে। ফলে বরফ গলছে হুহু করে। আর সেই অতিরিক্ত জলে ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করেছে গালওয়ান। এই অবস্থায় গালওয়ান নদীর আশপাশে থাকা বিপজ্জনক। সেনা সূত্রে ওই সংবাদমাধ্যমে খবর, স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গিয়েছে গালওয়ানের জলে ভেসে গিয়েছে চিনা সেনার তাঁবু।
সমতলের নদীর সঙ্গে পাহাড়ি নদীর তফাত্ অনেকটাই। বরফগলা জল ও বৃষ্টির জলে পাহাড়ি নদী ভয়ঙ্কর আকার ধারন করে। কখনও কখনও পাহাড়ি নদী হড়পা বানে ভাসিয়ে নিয়ে যায় দুপাশের সবকিছু। এরকম এক অবস্থায় খুব বেশিদিন গালওয়ান উপত্যকায় টিকতে পারবে না চিনা সেনা।
আরও পড়ুন-সুশান্ত 'দিল বেচারা'র শ্যুটিং সেটে সবথেকে বেশি 'ওমলেট ও চিজ' খেয়ে নিতেন: সঞ্জনা
উল্লেখ্য, গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা কমাতে একের পর এক বৈঠক করে চলেছে দুদেশ। কিন্তু এর মধ্যেই সীমান্ত ঘেঁসে নিজেদের ভূখণ্ডে সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে চিন। গত ৬ জুন কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে উত্তেজনা কমানোর কথা ঠিক হলেও ১৫ জুন ঘটে যায় দুপক্ষের ভয়ঙ্কর সংঘর্ষ। শহিদ হন ২০ জওয়ান।
সেনা সূত্রে সংবাদমাধ্যমের দাবি প্রকৃতিক কারণে গালওয়ান, গর্গ, হট স্প্রিং ও প্যাঙ্গন এলাকায় চিনা সেনার টিকে থাকা দুস্কর। তবে উত্তেজনা শীত পর্যন্ত বজায় থাকতে পারে।