নিজস্ব প্রতিবেদন- প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা বজায় রাখতে চাইছে চিনের পিপল'স লিবারেশন আর্মি। আর তাই তারা বারবার উত্তেজনা ছড়ানোর মতো কাজ করে চলেছে। ভারতীয় সেনার জওয়ানরা দিন-রাত সজাগ রয়েছেন বলে চিনা সেনর একের পর এক অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে। না হলে লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকায় হয়তো এতদিনে নিজেদের বলে দাবি করে বসত চিন। গত কয়েক মাসে বারবার ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে চিনা সেনা। কিছুদিন আগে লাদাখের প্যাঙ্গন লেকের দক্ষিণ প্রান্তে কয়েকটি পাহাড় দখলের চেষ্টা করেছিল চিন সেনা। কিন্তু ভারতীয় সেনার বিচক্ষণতায় তাদের সেই অসত্ উদ্দেশ্য সফল হয়নি। আর এবার মোটরবোটে চেপে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করল চিনা সেনার জওয়ানরা। কিন্তু এবারও তারা ব্যর্থ হয়েই ফিরল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্যাংগং লেকের পশ্চিম তীর দিয়ে মোটর বোটে চেপে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢোকার চেষ্টা করেছিল লাল ফৌজ। তবে প্যাঙ্গন লেকের চারপাশে অতন্দ্র প্রহরায় রয়েছেন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। তাদের সজাগ দৃষ্টি এড়িয়ে চিনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকতে পারেনি। সূ্ত্রের খবর, রীতিমতো তাড়া খেয়ে চিনা সেনাকে ফিরতে হয়েছে। মে মাস থেকে ফিংগার-ফোর দখল করে রেখেছে চিনা সেনা। মঙ্গলবার সেই ফিঙ্গার ফোর অতিক্রম করে মোটর বোটে চেপে ভারতীয় ভূখণ্ডের আরো ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল চিনা সেনার একটি দল। কিন্তু ৪০ জন চিনা সেনার সেই দলকে দেখতে পেয়েই তাড়া করে ভারতীয় সেনা। অবস্থা বেগতিক বুঝে তারা ফিরে যায়। ভারতীয় সেনা সতর্কবার্তা শুনে বোট ঘুরিয়ে নেয় তারা।


আরও পড়ুন-  দেশে প্রথম চাষীদের জন্য অ্যাপ আনল সরকার! মাছ চাষীদেরও সুখবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী


৭ সেপ্টেম্বর ২৫-৩০ জনের চিনা সেনার একটি দল চুশূলের মুখেরপরি পাহাড় দখল করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেদিনও তাঁদের রুখে দেয় ভারতীয় সেনা। একদিকে চিনের নেতারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরানোর জন্য বৈঠকে বসার ভান করছেন। আরেকদিকে চিনের সেনা প্রায় রোজই ভারতীয় সীমন্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। ৩০ অগাস্ট রেচিন লা ও রেজাং লা-র দখল নিয়েছিল ভারতীয় সেনা। কিন্তু ভারতীয় সেনার তরফে আশঙ্কা করা হচ্ছে এই দুই অঞ্চল আবার দখল করার চেষ্টা করবে চিনা সেন। কারণ এই দুটি শিখর থেকে চিনের মল্ডো ক্যানটনমেন্টের উপর ভারতীয় সেনার নজরদারি চালানোর কাজ সহজ হয়। আরও বেশ কয়েকটি অঞ্চল চিহ্নিত করা হয়েছে ভারতীয় সেনার তরফে। সেই এলাকাগুলি দখল করার চেষ্টা করতে পারে চিন। তাই সেসব অঞ্চলে পাহারা বাড়ানো হয়েছে।