চিড়েন, ভারতের একমাত্র মহিলা কমার্শিয়াল প্যারাগ্লাইডিং পাইলট
`কুছ করনে কি হো আস..আশায়ে...`। উইমেন পাওয়ার। জয়জয়কার চারদিকে। শুধু চাই মনের জোর, প্রবল ইচ্ছেশক্তি আর লক্ষ্যে পৌছতে কঠোর পরিশ্রম। তাহলেই, হাতের মুঠোয় দুনিয়া। যে ফর্মুলায় কামাল করে দেখিয়েছেন, সিকিমের অখ্যাত গ্রামের মেয়ে চিড়েন ভুটিয়া।
ওয়েব ডেস্ক: "কুছ করনে কি হো আস..আশায়ে..."। উইমেন পাওয়ার। জয়জয়কার চারদিকে। শুধু চাই মনের জোর, প্রবল ইচ্ছেশক্তি আর লক্ষ্যে পৌছতে কঠোর পরিশ্রম। তাহলেই, হাতের মুঠোয় দুনিয়া। যে ফর্মুলায় কামাল করে দেখিয়েছেন, সিকিমের অখ্যাত গ্রামের মেয়ে চিড়েন ভুটিয়া।
আশা আকাশ-ছোঁয়া। তা বলে পূরণ হবে না, কে বলেছে! গ্যাংটক থেকে প্রায় দশ কিলোমিটর দূরে গ্রামটির নাম রেসথাং খেলগাঁও। প্যারাগ্লাডিং-য়ের সুবাদে এখন বিশ্ব মানচিত্রে পরিচিত নাম এটি।
মেঘের রাজ্যে পাখির মতো উড়ে চলা। একদিকে চড়চড়িয়ে বেড়ে চলা অ্যাড্রেনালিন, আকাশে ওড়ার উত্তেজনা। আরেকদিকে আবার ভয়। যদি কিছু হয়ে যায়!
এখানেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় প্যারাগ্লাইডিং পাইলটদের ভূমিকা। তাঁদের হাতেই প্রাণ তুলে দিয়ে, তবে তো এই স্বপ্নপূরণ। চিড়েন তাঁদেরই একজন।
ভারতের একমাত্র মহিলা কমার্শিয়াল পাইলটের মেডেল তাঁর ঝুলিতে। ট্যুরিস্টদের কাছে চিড়েন এখন মোস্ট ওয়ান্টেড।
প্যারাগ্লাইডিং পাইলট হওয়ার পথে অবশ্য কম রক্তজল করতে হয়নি চিড়েনকে। তিন বছরের কঠোর ট্রেনিংয়ের পর, মিলেছে ছাড়পত্র। তাঁর আত্মবিশ্বাস, সাহস দেয় বাকিদেরও।
আরও পড়ুন- যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াইয়ের প্রশ্নে কেন পিছিয়ে রাখা হয় ভারতীয় মহিলাদের?
কদিন আগেই, বোমারু বিমানের ককপিটে ওঠার ছাড়পত্র জোগাড় করে ইতিহাস গড়েছেন ভারতেরই তিন কন্যা। প্রমাণ করেছেন, সব পারে মহিলারাও।
আছেন চিড়েনও। সাফল্যের মধ্যগগনে রয়েছে তাঁর নামও। এগিয়ে চলার পথে, তাঁর লড়াই, তাঁর সাফল্য অন্যদের অনুপ্রেরণা।