নিজস্ব প্রতিবেদন : ২৬/১১-র ধাঁচে জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে প্রাথমিক ভাবে যুঝতে দেশের বিলাসবহুল হোটেলগুলিকে প্রশিক্ষণ দেবে আধাসামরিক বাহিনী সিআইএসএফ। তাদের ৪৯-তম রাইজিং ডে-র আগে এই বিষয়ে সিআইএসএফ-এর তরফে একটি ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে একটি কনসালটেন্সি ফি নিয়ে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে এই নিরাপত্তারক্ষী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রশিক্ষণের তালিকায় কী রাখা হচ্ছে?


২৬/১১-র মুম্বই হামলার তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা দেখতে পান, ওই দিন তাজমহল হোটেল ও ট্রাইডেন্ট হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরা ও স্ক্যানার ঠিক মতো কাজ করেনি। এর ফলে নিরাপত্তায় বড়সড় ফাঁক থেকে গিয়েছিল। তারই সুযোগ নিয়ে বিস্ফোরক ও বন্দুক নিয়ে সেখানে সন্ত্রাসবাদীরা ঢুকে পড়েছিল সেদিন।  


আরও পড়ুন- ঋণ মকুবের দাবিতে মহারাষ্ট্র বিধানসভা অভিযানে ৩০ হাজার কৃষক


সে ধরনের হামলার পরিস্থিতি যদি আবারও তৈরি হয়, তা প্রাথমিক স্তরে কীভাবে মোকাবিলা করা হবে সেই প্রশিক্ষণই দেবে সিআইএসএফ। প্রশিক্ষণে দেখানো হবে-


১) হোটেল বিল্ডিংয়ের কোথায় কোথায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে এবং তা নির্দিষ্ট কত ডিগ্রি কোনে রাখতে হবে।
২) কতজন নিরাপত্তারক্ষী নিযুক্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে তাঁদের কী ধরণের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন তাও জানাবে সিআইএসএফ। এখানেই শেষ নয়, নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণও দেবে তারাই।
৩) বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্রে আপদকালীন গেজেট কীভাবে ব্যবহার করতে হবে, সে ব্যাপারে হোটেলকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।


কনসালটেন্সি ফি বাবদ এক একটি হোটেল থেকে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নেবে সিআইএসএফ।


২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ের ৮টি জায়গায় হামলা চালায় লস্কর-ই-তইবা। হামলা চলে ছত্রপতি শিবাজি রেল স্টেশন, বিলাসবহুল তাজমহল হোটেল, ট্রাইডেন্ট হোটেল, নারিম্যান হাউজ, কামা হাসপাতাল, লিওপড ক্যাফে, মেট্রো সিনেমা ও সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের পিছনের একটি রাস্তায়। ২৬ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত চলে এই হামলার ঘটনা। মৃত্যু হয় ১৬৪ জনের।