নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিক পঞ্জিকরণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বিরোধী শিবিরের ছবি তুলতে ধরতে চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু প্রথম বৈঠকেই গরহাজির থাকল ৬টি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক দল। বৈঠকের আগে বিরোধী ঐক্য নিয়ে গালভরা কথা হচ্ছিল, বাস্তবে তার উল্টোটাই হল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় আগেই স্পষ্ট করেছিলেন,বাংলায় বনধের নামে গুন্ডামি করেছে বামেরা। তাই বিরোধীদের বৈঠকে থাকবেন না। এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারকে ফোনে নিজের অবস্থান জানিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। স্বাভাবিকভাবে সোমবার দিল্লিতে বিরোধীদের বৈঠকে গরহাজির ছিল তৃণমূল।  আরও ৫টি দল আসেনি। আপ, বহুজন সমাজ পার্টি, শিবসেনা, ডিএমকে ও সমাজবাদী পার্টি বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।


আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন, তাঁর দলকে বৈঠকে আমন্ত্রণই করা হয়নি।  তামিলনাড়ুতে কংগ্রেসের স্থানীয় নেতাদের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ডিএমকে। সেপ্টেম্বরে রাজস্থানে মায়াবতীর ৬ বিধায়ক চলে গিয়েছে কংগ্রেসে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ বসপা সুপ্রিমো মায়াবতী। বলে রাখি, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে কংগ্রেসের শরিক। মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে সরকারে রয়েছে তারা। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গেও সখ্যতা রয়েছে সনিয়া গান্ধীদের।   


এদিন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর  নেতৃত্বে বৈঠকে ছিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, শরদ যাদব, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা। এর পাশাপাশি বৈঠকে উজ্জ্বল মুখ রাহুল গান্ধী, আহমেদ পটেল, গুলাম নবি আজাদ ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। 


বিরোধী শিবিরের এমন ভগ্নদশা দেখে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদের কটাক্ষ, বিরোধীদের ঐক্যের ছবিটা ফাঁস হয়ে গেল। সপা, বসপা ও আপের মতো দলই তো এল না। মাওবাদী ও শহুরে নকশালদের সঙ্গে কংগ্রেসের যোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। বলেন, ''বিরোধীদের প্রস্তাব দেশের স্বার্থ ও নিরাপত্তার পরিপন্থী। পড়শি দেশে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের সমর্থনেও নয়। এতে শুধুমাত্র পাকিস্তান খুশি হবে।'' 


আরও পড়ুন- ‘সাহস আছে মোদীজির! বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বলুন দেশের অর্থনীতির এই অবস্থা কেন’: রাহুল