নিজস্ব প্রতিবেন:  দেশের মধ্যেই দেশহারা হবেন এ দেশের প্রকৃত নাগরিকরা। নাগরিকত্ব বিল নিয়ে রাজ্যসভায় সরকারকে বিঁধলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার নাগরিকত্ব বিল পেশের পরও উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উচ্চকক্ষ। তৃণমূল সাংসদ বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(Citizenship Amendment Bill) ও নাগরিকপঞ্জীর তৈরির মতো উদ্যোগের ফলে দেশের প্রকৃত নাগরিকরা তাদের দেশ হারাবেন। অসমে নাগরিকপঞ্জীর পাইলট প্রোজেক্ট ভেস্তে গিয়েছে। তার পরেও সরকার বলছে দেশের অন্যান্য ২৭ রাজ্য তা চালু করবে।  অসমে ডিটেনশন শিবিরে যাদের আটকে রাখা হয়েছে তাদের ৬০ শতাংই হিন্দু।



আরও পড়ুন-পদ্মার ইলিশ কিনলে পেঁয়াজ ফ্রি, জম্পেশ বিজ্ঞাপনে লাফিয়ে বাড়ল বিক্রি


তৃণমূল সংসদ(Derek O’Brien)এদিন আরও বলেন, গণতন্ত্র থেকে এখন আমরা স্বৈরতন্ত্রের দিকে এগিয়ে চলেছি।  নাগরিকত্ব  সংশোধনী বিলের বিষয়বস্তু নাত্সিদের কাছ থেকে ধার নেওয়া হয়েছে।  দেশে এখন সংখ্যাগুরু বনাম নীতিবোধের লড়াই। জেডিইউ ও বিজেডির মতো দলকে আজ পরীক্ষার সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে সরকার।  সরকারের এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামবেন সাধারণ মানুষ।


উল্লেখ্য, এদিন রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন,  নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(Citizenship Amendment Bill) নিয়ে মিথ্যে রটানো হচ্ছে। এনিয়ে বেশ কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করে দিতে চাই। এই বিলে দেশের মুসলিমদের কোনও ক্ষতি হবে না। তাঁরা এদেশের নাগরিক ছিলেন এবং থাকবেন। এনিয়ে দেশের একজন মুসলিমেরও শঙ্কার কোনও কারণ নেই।  এনিয়ে যা রটানো হচ্ছে তা ঠিক নয়। মোদী সরকারের নেতৃত্বে এদেশের মুসলিমরা নিরাপদ। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে বিশ্বের সব দেশের মুসলিমদের এদেশে আশ্রয় দিতে হবে। কোথা থেকে দেব! কীভাবে চলবে দেশ!


বিলটি সম্পর্কে শাহ আরও বলেন, এই বিলটি আনা হয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ধর্মীয় কারণে অত্যাচরিত সংখ্যালঘুদের জন্য। এদের সঙ্গে এদেশের মুসলিমদের কোনও সম্পর্ক নেই।  প্রতিবেশী দেশের অমুসলিমরা যারা এখানে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন তাদের কী হবে ?  কোথায় যাবেন তাঁরা?  তাদের জন্যই এই বিল আনা হয়েছে।



আরও পড়ুন-গোধরা পরবর্তী হিংসায় গুজরাটের তত্কালীন মোদী সরকারকে ‘ক্লিনচিট’ দিল নানাবতী-মেহতা কমিশন


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী ৩ দেশ থেকে যাঁরা অত্যাচারিত হয়ে চলে এসেছেন তাঁরা শরনার্থী। ২০১৪ সালে ৩১ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত যাঁরা এসেছেন তাঁরা এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন।  এদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। যদি কোনও মামলা থাকে তাহলে তা প্রত্যাহার করা হবে। ওইসব শরণার্থীরা যখন থেকে এখানে বসবাস শুরু করেছেন তখন থেকেই এদেশের নাগরিক হবেন।