নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিরোধীদের প্রতিবাদের জবাব দিতে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। লোকসভায় তিনি বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করেছে কংগ্রেস। আমরা নই। বিদেশে অত্যাচারিত হচ্ছেন হিন্দু-সহ অন্যান্য ধর্মের মানুষ। ভারত সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তা পেলেও পাকিস্তান ও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হয়নি। তাই এই বিল আনতে হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিলের বিরোধিতা করতে গিয়ে ৫ ও ১৪ নম্বর ধারার কথা তোলেন বিরোধীরা।  এনিয়ে অমিত শাহ সংসদে বলেন, ‘ওই দুই ধারা কোনওভাবেই ভঙ্গ হচ্ছে না। নতুন আইন তৈরিতে কোনও বাধা নেই ওই দুই ধারায়। এর আগেও বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দুদের এদেশে আশ্রয় দিয়েছেন ইন্দিরা গান্ধী।  উগান্ডার মানুষদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাহলে এখন কেন নয়! দুনিয়ার বহু দেশের আইন নিয়ে আলোচনা করা যাতে পারে।  সংবিধানের ১৪ ধারায় যেখানে সবার জন্য আইনের সমতার কথা বলা হয়েছে তা লঙ্ঘন হবে না।’ প্রসঙ্গত, অমিত শাহের ওই বক্তব্যের পর বিলটি লোকসভায় গৃহীত হবে কিনা তা নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সেখানে ২৯৩-৮২ ভোটে বিলটি লোকসভায় আলোচনার জন্য গৃহীত হয়।


কংগ্রেসের পক্ষে বলতে উঠে দসের সাংসদ শশী থারুর বলেন, যারা বিশ্বাস করতেন ধর্মই হবে দেশ গঠনের ভিত্তি তারা পাকিস্তান তৈরি করেছেন। এই বিল ধর্মীয় বিভেদই তৈরি করবে।


উল্লেখ্য,  বিরোধীদের প্রবল হই হট্টগোলের মধ্যেই লোকসভায় আজ  নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর বক্তব্যের মধ্যেই তুমুল হইচই শুরু করে দেন বিরোধীরা। বিলের বিরোধিতা করে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দল।


আরও পড়ুন-কর্ণাটকে উপ-নির্বাচনের ভোট গণনায় ১২ আসনে এগিয়ে বিজেপি, ফলপ্রকাশের আগেই হার মানল কংগ্রেস


বিরোধীদের শান্ত করতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, বিলে কী রয়েছে তা পরে আলেচনা হবে। আগে বিল পেশ হোক। এনিয়ে বিতর্ক ও আলোচনার জন্য সময় দেওয়া হবে। তখন সব প্রশ্নে উত্তর দেওয়া হবে। সেই সময় ওয়াকআউট করবেন না।  আপনারা যে বলছেন এই বিল সংখ্যালুঘ স্বার্থের বিরুদ্ধে তা ছিক নয়। এই বিল ১ শতাংশ সংখ্যালঘু বিরোধী নয়।


বিলের বিরুদ্ধে বলতে ওঠানে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের সংখ্য়ালঘুদের টার্গেট করে তৈরি করা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। তৃণমূল সংসদসৌগত রায় রায় বলতে উঠলে তাঁকে প্রবলভাবে বাধা দেন সরকার পক্ষের সাংসদরা। এতে বিরক্ত সাংসদ বলে ওঠেন, আপনারা এরকম করছেন কেন। মারবেন নাকি! সৌগতবাবুর সোজা কথা, বিলে কী রয়েছে তা পরের বিষয়। নীতিগতভাবে এই বিলের বিরোধিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ  ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে এই বিলের মাধ্যমে।



আরও পড়ুন-শুটআউট রায়গঞ্জে, মোটরবাইকে করে এসে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি আততায়ীর


বিলের বিরোধিতা করে আরএসপি সাংসদ এন কে প্রেমচন্দ্রন বলেন, সংবিধানের মূল কাঠামোকে আঘাত করছে এই বিল।  ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া দেশের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর ওপরে আঘাত। বিলের বিরোধিতা করে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগ, কংগ্রেস ও মিম। মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েসি বলেন, সংবিধানের অবিচ্ছেদ্দ অংশ ধর্মনিরপেক্ষতা। এই বিলের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। হিটলারের সঙ্গে অমিত শাহের নাম একইসঙ্গে উচ্চারণ করা হবে।