নিজস্ব প্রতিবেদন: শীর্ষ আদালতে দায়ের হওয়া মামলা বিভিন্ন বেঞ্চে বণ্টনের ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিরই রয়েছে, স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্টই। আইনজীবী অশোক পান্ডার দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার এমনটাই জানাল ভারতের শীর্ষ আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জনস্বার্থ মামলায় বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া মামলাগুলি বিভিন্ন বেঞ্চে বন্টনের ক্ষেত্রে দেশের প্রধান বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের অন্য দুই প্রবীণতম বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে। কিন্তু, এদিন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এএম খানউইলকর এবং ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ তা নাকচ করে দেয়। ডিভিশন বেঞ্চ বলে, বিচারপতিদের বেঞ্চ গঠন এবং মামলা বন্টনের ক্ষমতা রয়েছে প্রধান বিচারপতিরই। বেঞ্চের পক্ষে বিচারপতি চন্দ্রচূড় লিখিতভাবে জানান, "ভারতের প্রধান বিচারপতি সমান ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম এবং মামলা বন্টন-সহ বেঞ্চ গঠনের ক্ষমতা তাঁর রয়েছে"। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে আরও খবর, প্রধান বিচারপতির পালিত কর্তব্যের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করা যাবে না। আরও পড়ুন- প্রধান বিচারপতির এজলাসে সিব্বাল, সিংভি, তঙ্খার উপর নিষেধাজ্ঞা


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টের চার প্রবীণ বিচারপতি সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন ও ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের দাবি, দিনের পর দিন, বেঞ্চ গঠনের ক্ষেত্রে এবং অভিজ্ঞতা ও পারদর্শিতার বিচারে যোগ্য বিচারপতিদের বেঞ্চে মামলা বন্টনের ক্ষেত্রে বৈষম্য প্রদর্শন করছেন দীপক মিশ্র। দেশের প্রধান বিচারপতি না কি তাঁর পছন্দের বিচারপতিদের বেঞ্চেই গুরুত্বপূর্ণ মামলা পাঠাচ্ছেন। আর এতেই চটে যান বিচারপতি চেলামেশ্বর, রঞ্জন গগৈ, মদন লকুর এবং কুরিয়েন জোসেফ। ওই সম্মেলনের আগে তাঁরা তাঁদের আপত্তির কথা চিঠি লিখে প্রধান বিচারপতিকে জানিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন। কিন্তু দীপক মিশ্র সেই চিঠি পেয়েও কোনও পদক্ষেপ না করায় তাঁরা সাংবাদিক সম্মেলন করেন বলে দাবি।